এসএসসি পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষার ফল শনিবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ৯টি শিক্ষা বোর্ডে ২ হাজার ৩১৯ জন শিক্ষার্থীর রেজাল্ট পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৫ জন। বাকিদের জিপিএ বেড়েছে।

ফেল থেকে পাস করেছে ঢাকা বোর্ডে ১৪২ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৯৪ জন, বরিশালে ৪২ জন, সিলেটে ৩৩ জন, যশোরে ১৩১ জন, চট্টগ্রামে ৮০, দিনাজপুরে ৫৫ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ৪৪ জন। এর মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা বোর্ডে ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। যশোর বোর্ডে একজন। এছাড়া চট্টগ্রামে ২ জন ও দিনাজপুরে ২ জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। প্রথম রেজাল্টে এরা ফেল করেছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে শিক্ষা বোর্ডের অবহেলা এবং শিক্ষকদের উদাসীনতার শিকার হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের অনেক পরীক্ষার্থী। এদের কারণে প্রতি বছরই হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভুল ফল মূল্যায়নের শিকার হচ্ছে। প্রথম দফায় অনেকে ফেল বা কম জিপিএ পাচ্ছে। পরে ফল পুনঃনিরীক্ষায় ফেল থেকে পাস করছে, জিপিএ-৫ পাচ্ছে এমন নজির আছে।

পরীক্ষা ও ফলকেন্দ্রিক এসব ঘটনার কারণে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে এসব নিয়ে ক্ষোভ আছে। কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক কোনো পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পরীক্ষার সঙ্গে একজন শিক্ষার্থীর সারাজীবনের সুখ-দুঃখ জড়িত। অবহেলা বা উদাসীনতার সঙ্গে পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের কাজ করা ঘোরতর অন্যায়। অনেক ভুলকে ‘মানবিক’ হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু কিছু ভুল ক্ষমার অযোগ্য। আমরা কঠিন ভুলের ক্ষেত্রে কঠোর হয়ে থাকি। এ নিয়ে একটি কমিটি আছে, যারা ভুলগুলো পর্যালোচনা করে থাকে। এবারের পুনঃনিরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থীর ফল উন্নয়ন হয়েছে, তাদের কেস পর্যালোচনা করে দায়-দায়িত্ব নিরূপণ শেষে উপযুক্ত শাস্তির জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠাব।

তিনি স্বীকার করেন, কিছু পরীক্ষক আছে যারা সন্তানকে দিয়ে ওএমআর (মেশিন পাঠযোগ্য) ফরমে প্রাপ্ত নম্বরের বৃত্ত ভরাট করান। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাত্র ৮৫ পেলে বৃত্ত হয়তো ভরাট হয়ে থাকে ০৫। তখনই সমস্যা হয়। এ ধরনের মানুষ দায়িত্বশীল নন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।