রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া থানার সেই ওসির বিরুদ্ধে এবার সোনার বার গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর সঙ্গে থানার এক উপপরিদর্শকও (এসআই) এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ।

ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ও এসআই আব্দুল মতিন চারটি সোনার বারসহ দুজনকে আটকের পর দুটি সোনার বার জব্দ তালিকায় উল্লেখ করে তাঁদের আদালতে পাঠিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। তবে তাঁরা দুজনই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, প্রায় আড়াই বছর পর কাতারের দোহা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের আজিজুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন। গত ১ অক্টোবর ইউএস বাংলার বিএস-৩৩৪ নম্বর ফ্লাইটে সকাল ৮টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা। সেখান থেকে বাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফিরছিলেন। দুজনের কাছে দুটি করে সোনার বার ছিল। কিন্তু রাজশাহী শহরের বর্ণালীর মোড় এলাকায় আসার পর বাস থেকে তাঁদের নামিয়ে নেন এসআই মতিন।

এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়েই দুই প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় তিনি দাবি করেছেন, আজিজুল ও ফারুকের দেহ তল্লাশি করে দুটি সোনার বার পাওয়া গেছে, যার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। মামলা দায়েরের পর শনিবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জব্দ তালিকায় চারটি সোনার বারের বদলে দুটি দেখানো হয়।

আমাদের বাণী ডট কম/৫ অক্টোবর ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।