নিজস্ব সংবাদদতা, নারায়ণগঞ্জ;  করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছেন জেলার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ও চার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

আজ সোমবার (১১ মে ২০২০) চার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুস্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাসসুম, আব্দুল মতিন খান, কামরুল হাসান মারুফ ও ফারজানা আক্তার। দীর্ঘদিন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা সুস্থ হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দুই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টেই নেগেটিভ এসেছে তাদের।

ত্রাণ কর্মকর্তা ও চার ম্যাজিস্ট্রেটের সুস্থ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ৷ আমার চারজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডিআরআরও (ত্রাণ কর্মকর্তা) সবাই করোনাযুদ্ধে জয়ী হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। মহান আল্লাহতালার কাছে লাখো শুকরিয়া প্রত্যেকের দুইবার নেগেটিভ এসেছে।

তিনি আরও লেখেন, করোনা আক্রান্ত প্রথম দুইজন শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জের ইটালি ফেরত। সেই তুলনায় আমরা চেষ্টা করেছি এই যুদ্ধটাকে সামনে থেকে করার। ডিআরআরও তিনদিন আগেই হাসপাতাল থেকে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি কেবিনেট সেক্রেটারি জনপ্রশাসন সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা, আমার সহকর্মীদের এবং আমাকে যেভাবে এই দুর্যোগে উৎসাহিত করেছেন তার ফলেই করোনার পজিটিভ সুন্দরভাবে ফিরে আসতে পেরেছি। সহকর্মী তানিয়া তাবাসসুম তমা ৩৪তম ব্যাচ যেভাবে যুদ্ধ করেছেন এটা আসলেই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বন্দর উপজেলা ইউএনও শুক্লা সরকার অথবা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানাই বা কম কিসে আমি প্রতিদিন যতবার তাদের খবর নিয়েছি উল্টো তারা আমার অসুস্থতা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিল। তবে একটা বিষয় আমি আমার সহকর্মী হিসেবে করোনা মোকাবেলার জন্য সামনে গিয়েছি। এসব সহকর্মীরা আমার নির্দেশনা জন্য অপেক্ষা করেনি তারাও আমার পরবর্তীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আর এগুলো করেছি নারায়ণগঞ্জবাসীকে ভালোবেসে, প্রশাসনের অবস্থান সমুন্নত রাখার জন্যই আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব করোনা থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হবেই ইনশাল্লাহ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (১১ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাত হাজার ২৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় সাত হাজার ২০৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ২৯ হাজার ৮৬৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটি ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৯১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১১ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩৯-এ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৫২ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৯০২ জন।

আমাদের বাণী ডট/১১ মে ২০২০/পিবিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।