ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  দেশে করোনা আক্রান্তের হার যখন ক্রমবর্ধমান, ঠিক সেই সময় সরকার ৩০ মের পর ছুটি আর না বাড়িয়ে সবকিছু সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বিধি কি সেভাবে মেনে চলা হচ্ছে? সীমিত আকারে সব খুলে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধির হালইবা কী হবে? বিষয়গুলো নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মে ২০২০)  টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান  বলেন, ‘দৃশ্যত জীবন ও জীবিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব মুখোমুখি। এটি সমন্বয় করতে গিয়ে সরকার জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে হয়তো ব্যবসায়ী মহলের চাপ ছিল। এর আগে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের চাপে গার্মেন্টস খুলে দিয়েছিল। তবে যখন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তখন সবকিছু শিথিল করাটা প্রশ্নবিদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় দেটিআইবি , করোনা, সাধারণ ছুটি খা গেছে, তাদের সংক্রমণের হার কমার পর লকডাউন শিথিল করেছে। ছাড় দেওয়া হলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হবে।’

তিনি আরও বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন অবনতির দিকে। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিনই কমবেশি ২০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছে দুই হাজার ২৯ জন। সব মিলিয়ে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার। আর এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৫৫৯ জন। সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি শিথিল করা প্রশ্নবিদ্ধ।’ তিনি বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতির এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরি প্রয়োজনীয় কাজের পরিসর আরও বাড়ানো যেত। কিন্তু সবকিছু উন্মুক্ত করে দেওয়ার ফলে বিপদের ঝুঁকি আরও বাড়বে।

  • এই মহাদুর্যোগেও জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে নেই। আবার যারা আছেন তাদের মধ্যে অনেকেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে যায়নি। আবার যারাও গেছেন তারা দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। আসলে তাদের জনপ্রনিধি হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই। তাদের মৌলিক গুণাবলি থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে তাদের চিরতরে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে এরা আবারও নির্বাচিত হয়ে অনিয়মের সাথে যুক্ত হবে।’ সূত্র; আমাদের সময়

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৮ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯টি ল্যাবের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করেছি ৯ হাজার ২৬৭টি। পূর্বেরসহ নমুনা পরীক্ষা করেছি ৯ হাজার ৩১০টি। এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ২ হাজার ২৯ জন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৩২১ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।’ গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ১৫ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ৫৫৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ৫০০ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।’

আমাদের বাণী ডট কম/২৯  মে ২০২০/সিসিপি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।