নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা;  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এসএএম গোলাম কিবরিয়া করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

  • গতকাল বৃহস্পতিবার (০৪ জুন ২০২০) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু হয় ইউরোলজিস্ট ডা. কিবরিয়ার।

আজ শুক্রবার (০৫ জুন ২০২০) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সেকশন অফিসার (জনসংযোগ) প্রশান্ত কুমার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

  • ঢামেক হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন ডা. কিবরিয়া। গত ২জুন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।

ডা. মজিবুর রহমান জানান, ডা. কিবরিয়া বিএসএমএমইউয়ের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ কলেজ ওব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনের (বিসিপিএস) কাউন্সিলর ও সভাপতি ছিলেন।

  • চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিসের (এফডিএসআর) তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এ নিয়ে ১৮ জন চিকিৎসক মারা গেলেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও পাঁচ চিকিৎসক। সারাদেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সহস্রাধিক চিকিৎসক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০৪ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৭৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪২৩ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ হাজার ৫৬৩ জনে।৫০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৪টি। আক্রান্তের হার ১৯.০৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭১ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ হাজার ১৬১ জন। সুস্থতার হার ২১.১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ২৯ জন ও নারী ছয়জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের একজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন ও খুলনা বিভাগের একজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ তিনজন, ৫১-৬০ ১৪ জন, ৬১-৭০ ১১ জন, ৭১-৮০ দুইজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২২ জন, বাড়িতে ১২ জন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৩৮৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ১৩০ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৫ জুন ২০২০/সিসিপি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।