ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা; করোনার বিস্তার বন্ধে সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ নিশ্চিত করার জন্য পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন বলে করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি সরকারকে এ পরামর্শ দিয়েছে। গত বুধবার কারিগরি পরামর্শক কমিটি জীবন এবং জীবিকার সামঞ্জস্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সারা দেশে আক্রান্ত ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে যতটা বড় এলাকায় সম্ভব জরুরিভিত্তিতে লকডাউনের জন্য কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছে।

  • কারিগরি কমিটির পরামর্শে আরো বলা হয়েছে, অত্যন্ত জরুরিভিত্তিতে সব হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে চালু করার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ইতোমধ্যে যে পরামর্শ দিয়েছে সেই লক্ষ্যে হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপির ব্যবস্থা সব হাসপাতালে চালু ও সম্প্রসারণ করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে পুনরায় অনুরোধ করেছে।

চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যাপকহারে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীর জীবনাবসান ঘটেছে। এ হারে আক্রান্ত হতে থাকলে ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রবলভাবে ব্যাহত হবে। হাই- ফ্লো অক্সিজেনসহ চিকিৎসার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অবিলম্বে আলাদা হাসপাতাল চালু করা প্রয়োজন বলে মনে করে কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

  • পরামর্শক কমিটি আরো বলেছে, কোভিড-১৯’র জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলো সবসময় পূর্ণ থাকছে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে ইতোমধ্যে সব হাসপাতালে পৃথকভাবে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীর চিকিৎসা দেয়ার করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। যেসব হাসপাতালে এ সিদ্ধান্ত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি সেসব হাসপাতালে তা কার্যকর হওয়ার পাশাপাশি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আরো বাড়ান দরকার। এজন্য বক্ষব্যাধি হাসপাতাল বা এরকম অন্য যেকোনো উপযুক্ত হাসপাতালকে দ্রুত চালু করা দরকার।

সরকার টেস্টের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করতে সফলতা দেখিয়েছে। এখন প্রয়োজন পরীক্ষার মান্নোয়ন ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। যত দিন সময় কমানো সম্ভব না হয়, পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করে সন্দেহজনক রোগীর চিকিৎসা/আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (১১  জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ হাজার ১১৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৭৭২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো চার লাখ ৫৭ হাজার ৩৩২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ১৮৭ জনের মধ্যে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮ হাজার ৫২ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। আগের দিনও সমানসংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৪৯ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৪৮ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৬ হাজার ৭৪৮ জন।

আমাদের বাণী ডট কম/১১ জুন ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।