ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পদি রক্ষার দাবিতে ১১৪ পটয়াখালী-০৪ আসনের এমপি মহাদয়ের হস্তক্ষেপ কামনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে কলাপাড়ার চম্পাপুর ইউনিয়নের মৃত সেলিম মৃধার স্ত্রী রোকেয়া বেগম।

বরিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার পাঁচ কন্যা সন্তান খাদিজা বেগম, মাকসুদা বেগম, কাকলী বেগম, ফাহিমা বেগম, সুমি বেগম, পুত্র বধু আসমা ও ভগ্নিপতি আনোয়ার হোসেনসহ ওই এলাকার অনেক দরিদ্র কৃষকরা।

রোকেয়া বেগমের পক্ষে তার তৃতীয় কন্যা কাকলী বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বাবা মৃত সেলিম মৃধার ভোগ দখলীয় কবলাকৃত জমি (যেটা বর্তমানে আমাদের দখলে রয়েছে) ১৯৬৩ সালে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সৃষ্টি করে একই এলাকার মৃত গনি ফকিরের ছেলে মৃত বাদশা ফকির। গনি ফকির একজন দস্যু প্রকৃতির ডাকাত সর্দার ছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহীনিরা গনি ফকিরকে রাজাকারের লাইনে দাড় করিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করে। গনি ফকিরের ছেলে বাদশা ফকির, কালাম ফকির, আলমগীর ফকির, শাহিন ফকির ও সাহানারা বেগম এক লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে। এর পেছনে কলাপাড়ার প্রভাবশালী এক নেতার হাত রয়েছে। আমরা বাদীগন তাহার সাথে ক্ষমতার প্রভাবে অপারগ হয়ে বিভিন্ন হয়রানির স্বীকার হই। আমাদের কবলাকৃত জমি যাহার ক্ষতিয়ান নং ১৩৬, ৩৩ ও ৩৪ এর জমি থেকে ১৩৬ নং ক্ষতিয়ান দিয়ে ১.৫০ একর জমি নিয়ে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত পটুয়াখালীতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নং-১৬৮/১২। কিন্তু বিবাদীগন ওই প্রভাবশালীর ছত্র ছায়ায় মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও আমাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তী জোর করে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে একাধিকবার দখল নেয়ার চেষ্টা করে। এনিয়ে কলাপাড়া উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতহান মাহমুদ কয়েকবার শালিস বৈঠক করেছেন। কিন্তু কোন সুরাহা করতে পারেনি। পরে ০৯/০৪/২০১৯ তারিখে কলাপাড়া থানায় শালিস বৈঠক বসলে তারা আমাদের ধান কাটার আদেশ দেন। কিন্তু বিবাদীগন কোন শালিস মানেনা। তারা কেয়ার ফ্যাশনের কাছে জাল দলিলের মাধ্যমে এ জমি বিক্রি করে দেয়। আমাদের সাথে কেয়ার ফ্যাশনের কোন বিরোধ নেই। বিবাদীগন বর্তমানে আমাদের প্রাননাশের হুমকিসহ এলাকার ছাড়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন। আমরা অসহায় হয়ে ১১৪ পটুয়াখালী-০৪ আসনের এমপি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিবের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অভিযুক্ত বাদশা ফকিরের ভাই কালাম ফকির জানান, এঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাদের দখলে কোন জমি নেই। এজমি নিয়ে কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে। তারা কোন শালিস বৈঠক মানেনা। তাছাড়া এজমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।