জাতীয় জাদুঘর এর আওতাধীন সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘর আয়োজিত গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৩তম তিরোধান দিবস বৃহস্পতিবার বিকালে পালিত হলো মিউজিয়ামের নিজস্ব মিলনায়তনে ।

কুমারখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নূর-এ আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব ও জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক কাজী আখতার হোসেন।

প্রধান আলোচক ছিলেন গবেষক, লেখক ড. আমানুর আমান, আলোচক ছিলেন কবি, কথাশিল্পী, গবেষক সোহেল আমিন বাবু ও প্রাবন্ধিক, নাট্যকার লিটন আব্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সাবেক সম্পাদক নন্দগোপাল বিশ্বাস, কুমারখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান নিপুন, কুমারখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র এসএম রফিক, কুমারখালী কলেজের প্রভাষক মাসুদ রানা, কবি, প্রাবন্ধিক রুহুল আযম প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য দেন কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের প্রদর্শক (প্রভাষক) সৈয়দ এহসানুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুনিরা বেগম মেরী।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কাঙাল হরিনাথ বংশধর গীতা মজুমদার, কুমারখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়েলর শিক্ষক ও ছাত্রীবৃন্দ, সাংবাদিক দীপু মালিক, কুমারখালী উপজেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক শরীফুল ইসলাম, কুমারখালী কাঙাল হরিনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি কে এম আর শাহীন, সাংবাদিক আরকে জামান রিপন, বার্তা টিভির এমডি খান আতাউর রহমান সুজন,সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, সাংবাদিক এম এ ওহাব, আবু দাউদ রিপন, কেএম সিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক সাহেব আলী,বার্তা টিভির ক্যামেরা পার্সন সাকিব ফারহান প্রমুখ। আলোচনার পর দ্বিতীয় পর্বে কাঙাল হরিনাথের গান দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানর পরিবেশন করে কুমারখালী সংগীত বিদ্যালয়। গান পরবেশন করে মানিক, রেজা, মুন্সি মাহমুদ হোসেন মানু প্রমুখ।

প্রধান অতিথি কাজী আখতার হোসেন বলেন, সংষ্কৃতির তীর্থভূমি কুমারখালীকে প্রতিষ্ঠিত করেছে কিংবদন্তি এই সাংভাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার। তিনি গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকার মাধ্যমে শোষিত শ্রেণীর মানুষের সংবাদ পরিবেশন করে গ্রাম সংবাদের ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন সেসময়। প্রধান আলোচক ড. আমান বলেন, গ্রামীণ সাংভাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদার কে বিশ্বের দরবারে পৌছাঁতে ইংরেজি ভার্সনে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের সৃষ্টি, সমাজমনষ্কতা ও নিষ্পেষিত মানুষের কণ্ঠস্বর গ্রামবার্ত্তা পত্রিকা সেই ১৮৭৩ সালে সারা বাংলায় আলোড়ন ও জাগরণ তুলেছিল যা শোষিত সমাজকে অত্যচার, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিল। সে কারণে ভার্সেটাইল এই মানুষটিকে বিশ্বের দরবারে পোৗছাতে তিনি ইউরেোপে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে সকলেই এই মনীষী সম্পর্কে বিস্তর জানতে পারে।
আলোচক কাঙাল জীবনীকার সোহেল আমিন বাবু বলেন, কাঙাল হরিনাথ সাংবাদিকতা, সমাজসেবা সহ শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন তাই তিনি আজ ১৮৬ বছর পরেও প্রাত:স্মরণীয়।

আলোচক লিটন আব্বাস বলেন, উনিশ শতকের আলোকিত মানুষ গ্রাম সংবাদের জনক কাঙাল হরিনাথ মজুমসদারকে স্মরণ করা, শ্রদ্ধা জানানো ইতিহাসের দায়, এছাড়াও আরো কিছু স্বীকৃতির প্রয়োজন। যাঁদের জন্মে ধন্য এ মাটি, এ দেশ তাঁরা রাষ্ট্রিক সম্পত্তি, এনটিক্স ভেলুস অনেক সুতরাং পরবর্তী প্রজন্মদের জন্য সঠিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং এই সময়ের সৎ, সাহসি সাংবাদিকদের কাজের স্বীকৃতি ও অবদানের জন্য জাতীয় ভাবে সাংবাদিকতায় কাঙাল হরিনাথ মজুমদার পদক প্রবর্তন করে ইতিহাদের দায়মোচন করা জরুরী।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।