বারুনী স্নানের  মধ্য দিয়ে দেহ ও মনের সকল পাপাঞ্জলী মুছতে  মঙ্গলবার রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর গাছের গোড়ায় সমবেত হয়েছিলো অর্ধলক্ষাধিক ভক্ত ও দর্শনার্থী । রাজ রাজেশ্বর মন্দিরের এ আয়োজনের শুরু ৭ শ বছর আগে থেকে।

রাজ রাজেশ্বর মন্দিরের সেবাইত সুকুমার চক্রবর্তী জানায়,৭ শ বছর আগে তাদের আদি পুরুষ ঈশ্বর শীতল চত্রবর্তী স্বপ্নযোগে রাজ রাজেশ্বর মন্দিরের সন্ধান পেয়ে পূজা কার্য শুরু করে। সেই থেকে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার পূজা ও চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে বারুনী স্নান অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে আয়োজন হয় মেলার। যা বারুনী মেলা নামে পরিচিত। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বারুনী মেলায় ভারত,নেপাল ও বাংলাদেশের অর্ধলক্ষাধিক ভক্ত ও দর্শনার্থী সমাগত হয়েছে বলে জানালেন ওই পুরোহিত।

ঈশ্বর শীতল চত্রবর্তীর ১৪ তম বংশধর সুব্রত চক্রবর্তী রাজ রাজেশ্বর মন্দিরের সাধারন সম্পাদক। তিনি জানান,প্রতিবছর এক দিনে বারুনী স্নান সম্পূর্ন হলেও এবার তিথীর কারনে ২ দিন বারুনী স্নানহ বে। তাই বুধবার পর্যন্ত চলবে।

মেলা উপলক্ষে স্থানীয়দের মাঝেও বেশ সারা পরেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা জানালেন,  বারুনী স্নান  হিন্দুদের পাপ মুক্তির পথ হলেও বারুনী মেলা স্থানীয় সব ধর্মের মানুষের কাছে উৎসবের মত। এজন্য সব শ্রেনীর মানুষের সমাগমে মেলা জমজমাট।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।