কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা;  জেলায় সর্বশেষ গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন করে আরও ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

  • এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে জেলার ভৈরবে করোনা পজিটিভ এক নারীর মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ভৈরবে মারা গেছেন ৫ জন এবং নতুন ৮ জনসহ আক্রান্ত ১৫০ জন।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ সদর, ইটনা, তাড়াইল, বাজিতপুর ও করিমগঞ্জ উপজেলা থেকে সংগৃহীত ৯১ জনের নমুনা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে। এতে ২৫ জনের পজিটিভ এবং ৬৬ জনের নেগেটিভ এসেছে। কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৪০৪ জন। গতকাল বুধবার নতুন করে আরও ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৬ জনে।

সিভিল সার্জন বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা, ইটনা, তাড়াইল, বাজিতপুর ও করিমগঞ্জ উপজেলায় সংগৃহীত মোট ২২১ জনের নমুনার মধ্যে ১৬৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। একজনের নমুনা বাতিল হয়েছে। মোট ২২১ জনের নমুনার মধ্যে ৯১ জনের নমুনা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে। এতে ২৫ জনের পজিটিভ এবং ৬৬ জনের নেগেটিভ এসেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০৪ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৭৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪২৩ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ হাজার ৫৬৩ জনে।৫০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৪টি। আক্রান্তের হার ১৯.০৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭১ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ হাজার ১৬১ জন। সুস্থতার হার ২১.১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ২৯ জন ও নারী ছয়জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের একজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন ও খুলনা বিভাগের একজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ তিনজন, ৫১-৬০ ১৪ জন, ৬১-৭০ ১১ জন, ৭১-৮০ দুইজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২২ জন, বাড়িতে ১২ জন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৩৮৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ১৩০ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৪ জুন ২০২০/সিসিপি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।