হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতা; জেলায় নতুন করে আরও ১১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা (বহিরাগত বাদে) দাঁড়ালো ৩৯৫ জনে। মারা গেছেন ৪ জন।

  • আজ সোমবার (২২ জুন ২০২০) বিকেলে  কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কুষ্টিয়ার মেডিকেল কলেজের প্রদত্ত তথ্য মতে, পিসিআর ল্যাবে আজমোট ১৪৮ টি নমুনা পরীক্ষার (কুষ্টিয়া ৯৩, মেহেরপুর ২৫, চুয়াডাঙ্গা ৩০) মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলায় ৫ জন, কুমারখালী উপজেলায় ১ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ১ জন, মিরপুর উপজেলায় ১জন ও খোকসা উপজেলায় ৩ জন মোট ১১ জন নতুন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।

মেহেরপুর জেলায় ৫ জন ও চুয়াডাঙ্গা উপজেলায় ৯ জন নতুন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ২ জন, দৌলতপুর উপজেলার ১ জন ও মেহেরপুর জেলার ১ জন মোট ৪ টি ফলোআপ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকিগুলোর ফলাফল নেগেটিভ৷

 সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল জানান, কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলায় আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে চৌড়হাস ১ জন, পূর্ব মজমপুর ১ জন, পশ্চিম মজমপুর ১ জন, মারকাস গলি ১ জন ও  চর আমলাপাড়া ১ জন। কুমারখালী উপজেলায় আক্রান্ত ১ জন খয়েরছাড়া, মথাপাড়ায়। দৌলতপুর উপজেলায় আক্রান্ত ১ জন মহেশকুণ্ডির। মিরপুর উপজেলায় আক্রান্ত ১ জন ছাতিয়ানের। খোকসা উপজেলায় আক্রান্ত ৩ জন চকহরিপুর ১ জন ও  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২ জন।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২২  জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী,  গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮  জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৮০ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনে। আজ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ১৫৫৫৫ টি যা গতদিনে ছিল ১৫৫৮৫ । গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৮৭টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৫৫টি। শনাক্তের হার ২২.৩৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৮ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৫ জন। সুস্থতার হার ৪০.৩৮% এবং মৃত্যুর হার ১.৩০ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ৩৩ জন ও নারী পাঁচজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন করে, বরিশাল বিভাগের চারজন এবং সিলেট বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, বাড়িতে ১২ জন এবং হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৬১৮ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৩৪১ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/২২  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।