হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতা; জেলায় নতুন করে আরও ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯৭ জনে। মারা গেছেন ৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে হাসপাতালের ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ১২৭ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৩৪৪ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০ জন।

আজ  বৃহস্পতিবার (২৫  জুন ২০২০) রাতে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের তথ্যমতে, আজ   আজ মোট ২৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার ১৯৬ টি নমুনা ছিল। জেলায় আজ নতুন করে ৩৬ জনকে আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, নতুন আক্রান্তের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে ৩ জন, সদর উপজেলায় ১৭ জন, কুমারখালীতে ৮ জন, ভেড়ামারায় ৮ জন।

তিনি জানান, কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলায় আক্রান্ত ১৭ জনের ঠিকানা থানাপাড়া ১, কোর্টপাড়া ১, জুগিয়া মঙ্গলপাড়া ১, হাউজিং ১, কুমারগাড়া১, কাস্টম মোড় ১, বিআরবি ১, বড় আইলচাড়া১, ফুলতলা ১, বিইবি জুগিয়া ১, জগতি১, মঙ্গলবাড়িয়া বাজার ১,আড়ুয়াপাড়া ৩, বিআরবি টাওয়ার ১ জন, খেজুরতলা ১ জন। কুমারখালী উপজেলায় আক্রান্ত ৮ জনের ঠিকানা বাড়াদি কয়া ১, ইউএইচসি ১, সুলতানপুর১, পৌরসভা ১, কুন্ডুপাড়া১, শেরকান্দি ৩ জন। দৌলতপুর উপজেলায় আক্রান্ত ৩ জনের ঠিকানা ওয়ালটন প্লাজা ১, গঙ্গারামপুর১, জয়রামপুর ১ জন। ভেড়ামারায় আক্রান্ত ৮ জনের ঠিকানা কুন্ডুপাড়া ২, নওদাপাড়া২, ষোলোদাগ২, ধুবাইল ১, মাধবপুর ১ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন, মহিলা ১১ জন।

 মোট ৪৬১ জনের মধ্যে জেলার দৌলতপুর উপজেলায় ৬৪, ভেড়ামারা উপজেলায়  ৭২, মিরপুর উপজেলায়  ৩৬, সদর ২৩৮, কুমারখালী উপজেলায়  ৬৬, খোকসা উপজেলায় ২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ রোগী ৩৭২, নারী ১২৫।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৫ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৬২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৬ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৩ ।  গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৯টি। শনাক্তের হার ২১.৯২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮২৯ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫১ হাজার ৪৯৫ জন। সুস্থতার হার ৪০.৬৭% এবং মৃত্যুর হার ১.২৮ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ৩২ জন ও নারী ৭ জন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ সাতজন, ৫১-৬০ ৯ জন, ৬১-৭০ ১২ জন এবং ৭১-৮০ সাতজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাড়িতে ১১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৬৪৫ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৩৭৪ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৫ জুন ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।