হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতা; জেলায় নতুন করে আরও ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭১১  জনে। মারা গেছেন ১২  জন। এবং সুস্থ হয়ে ছাড় পেয়েছেন মোট ৩০২ জন। একই সময়ে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৩৬২ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৩  জন।

আজ  শুক্রবার (০৩  জুলাই ২০২০) রাতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কুষ্টিয়ার মেডিকেল কলেজের প্রদত্ত তথ্য মতে, আজ মোট ২৬৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ১৩৫ টি, নড়াইলের ১৮ টি , মেহেরপুরের ২৪ টি, চুয়াডাঙ্গার ২৯ টি এবং ঝিনাইদহের ৬৩ টি নমুনা ছিল। কুষ্টিয়া জেলায় আজ নতুন করে ৩৩ জনকে আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছে । এছাড়া কুষ্টিয়া সদরের ২ টি ও দৌলতপুরের ১টি , ভেড়ামারার ১ টি নমুনার রিপোর্ট ফলোয়াপ পজেটিভ। নড়াইল জেলায় ৫ জন, ঝিনাইদহ জেলায় ১৫ জন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২ জন ও মেহেরপুর জেলায় ৪ জন ( এবং ১ টি ফলোয়াপ ) নতুন রোগী সনাক্ত হয়েছে, বাকি রিপোর্ট নেগেটিভ। নতুন আক্রান্তের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে ১ জন ,সদরে ২৬ জন, কুমারখালীতে ৫ জ্ন, ভেড়ামারায় ১ জন।

সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান,  নতুন আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, মহিলা ১০ জন।
এই নিয়ে কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত ৭১১ জন কোভিড রোগী সনাক্ত হল।   উপজেলা ভিত্তিক রোগী সনাক্ত, দৌলতপুর ৯৩, ভেড়ামারা ৮২, মিরপুর ৪৪, সদর ৩৭৮, কুমারখালী ৮৯, খোকসা ২৫ জন। মোট শনাক্তকৃতদের মধ্যে পুরুষ রোগী ৫১৯, নারী ১৯২।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০৩ জুলাই ২০২০) তথ্য অনুযায়ী,  গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৯৬৮  জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১১৪  জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯১  । আজ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪  হাজার ৬৫০  টি যা গতদিনে ছিল ১৮  হাজার ৩৬২ টি । ৬৩টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৫০টি। শনাক্তের হার ২১.২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬০৬ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৪৮ জন। সুস্থতার হার ৪৩.৫১% এবং মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ তিনজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ পাঁচজন, ৫১-৬০ ১১ জন, ৬১-৭০ ১১ জন, ৭১-৮০ সাতজন, এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ৩২ জন ও নারী ১০ জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী তিনজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, রংপুর বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে একজন ও সিলেট বিভাগে তিনজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বাড়িতে ১১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৮৭৭ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৬৮৭ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৩  জুলাই  ২০২০/পিপিএম

সৈয়দপুরের বিজ্ঞাপন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।