হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতা; জেলায় নতুন করে আরও ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭৮ জনে। মারা গেছেন ৭  জন।

আজ রবিবার (২৮ জুন ২০২০) রাতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কুষ্টিয়ার মেডিকেল কলেজের প্রদত্ত তথ্য মতে, পিসিআর ল্যাবে আজ মোট ২৮২ টি স্যাম্পলের (কুষ্টিয়া ১৯৭, মেহেরপুর ৭, নড়াইল ৭৮) মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৯ জন, কুমারখালী উপজেলায় ১০ জন, ভেড়ামারা উপজেলার ৪ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় ৪ জন মোট ৩৭ জন নতুন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।

নড়াইল জেলায় ১২ জন নতুন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এছাড়া নড়াইল জেলার ১ জনের ফলোআপ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকিগুলোর ফলাফল নেগেটিভ৷

সিভিল সার্জন জানান,  কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আক্রান্ত ১৯ জনের ঠিকানা এ-৫১  হাউজিং ২ জন, ঈদগাপাড়া ১ জন, চৌড়হাস ২ জন, স্টেডিয়াম পাড়া ২ জন, কাস্টমস মোড় ২ জন, ফায়ার সার্ভিস ১ জন, আড়ুয়াপাড়া ২ জন, কোর্টপাড়া ২ জন, হরিশংকরপুর ১ জন, মোল্লাতেঘরিয়া ১ জন, কালিশংকরপুর ১ জন, ডি ব্লক, হাউজিং ১ জন, বারোখাদা ১ জন।ভেড়ামারা উপজেলায় আক্রান্ত ৪ জনের ঠিকানা ফকিরাবাদ ১ জন, কাছিয়ামোড়া ১ জন, ১৬ দাগ ২ জন। কুমারখালী উপজেলায় আক্রান্ত ১০ জনের ঠিকানা মহেন্দ্রপুর ১ জন, কুণ্ডপাড়া ১ জন, কালোয়া ২ জন, দেশোয়ারীপাড়া ১ জন, হাউজিং এ ব্লক ১ জন, চর আমলাপাড়া ৪ জন। দৌলতপুর উপজেলায় আক্রান্ত ৪ জনের ঠিকানা তারাগুনিয়া ১ জন, ভাঙ্গাপাড়া ১ জন, মহেসকুণ্ডি ২ জন।।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৮ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৭৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৯ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৭  হাজার ৭৮৭ । গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে পূর্বের মিলে ১৮ হাজার ৯৯টি। শনাক্তের হার ২১.০৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন। সুস্থতার হার ৪০.৪৪% এবং মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ সাতজন, ৫১-৬০ ১৩ জন, ৬১-৭০ ১২ জন, ৭১-৮০ সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জন ঢাকা বিভাগের। এরপরই আছে চট্টগ্রাম বিভাগ (১০ জন)।

আমাদের বাণী ডট কম/২৮  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।