ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ একটি জনবহুল ব্যস্ততম শহর। এ শহরের ভিতরের সড়কের দু’পাশের সরকারী জমি দখল করে অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে। ফলে শহরের মধ্যকার সড়কসহ পৌর এলাকার বেশিরভাগ সড়কই ক্রমেই সরু হয়ে যাওয়ায় যানজট নামের জনভোগান্তি এ শহরের মানুষের হয়েছে নিত্যসঙ্গী। দীর্ঘদিনের এ ভোগান্তি দূর করতেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ গ্রহন করেছে কালীগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সকাল হতে কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ উপস্থিত থেকে শহরের নলডাঙ্গা সড়ক, গোহাটা সড়ক, হাটচাঁদনী সড়ক, হাসপাতাল সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে ফিতে ধরে লাল নিশানা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।

কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ জানান, দিনদিন দখলবাজদের দখলে চলে যাচ্ছে কালীগঞ্জ শহরের সড়কের সরকারী জায়গা। শহরের ভিতরের সড়কের দু’ধারের দখলের মাত্রা বেশি হওয়ায় সড়কটি ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে যানজট হয়েছে পৌর নাগরিকদের নিত্যসঙ্গী। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এবং নাগরিক সেবা বৃদ্ধি করতে পৌর কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি আরও জানান, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়ে পৌর এলাকায় দফায় দফায় মাইকিং করা হয়েছে। সামনে আর মাত্র কয়েকদিন সামনে থাকলেও স্থাপনা সরানোর উদ্যোগ তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, সময়সীমা পার হলেই পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেবে। প্রচার মাইকসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোষনা দেয়া হয়েছে দখলবাজরা অবৈধ স্থাপনা নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সরিয়ে না ফেললে পরবর্তীতে শ্রমিক খরচ দখলবাজদেরকে বহন করতে হবে। পৌর নাগরিকদের দাবি, অল্প কয়জন দখলবাজের কারনে নাগরিক সুবিধা বাধাগ্রস্থ হতে পারে না। দখলবাজদের সীমাহীন দখলবাজির কারনে সারাবছর দুর্বিসহ যানজট পোহাতে হয় পৌর নাগরিক ও পথচারীদের। এভাবে চলতে পারে না।

পৌরসভার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কালীগঞ্জের সকল শ্রেণী পেশার মানুষসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।