খুলনার ১০টি সরকারি গুদামে চালের মজুদ প্রায় তলানীতে এসে ঠেকেছে। গত বছরের মে মাসে গুদামগুলোতে ৪২ হাজার ৪২৭ মেট্রিক টন চাল মজুদ ছিল। বুধবার (৫ মে) মজুদ দেখোনো হয়েছে মাত্র ৮ হাজার ৫৩৪ মেট্রিক টন।

কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন— গেল আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়। এছাড়া ভারত থেকে সরকারিভাবে আমদানি করা চাল ফুরিয়ে এসেছে। এর বাইরে ভিজিএফ ও বিভিন্ন বাহিনীকে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টন চাল সরকারি গুদাম থেকে দিতে হচ্ছে।

এদিকে, বোরো উৎপাদন কম হওয়ায় সরকারের শর্তানুযায়ী বোরো চাল দিতে মিল মালিকরা অনিহা প্রকাশ করছে। চালের বাজারের মূল্য ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় তা উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে হুমকীতে ফেলে দিয়েছে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেঝে, জেলার মহেশ্বরপাশা, খুলনা সিএসডি, রূপসা উপজেলার আলাইপুর, কয়রা উপজেলার ঘুগরাকাটি, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা, তেরখাদা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া খাদ্য গুদামে ২০১৯ সালের ৩০ জুন ৬৩ হাজার ৯৬৭ মেট্রিক টন চাল মজুদ ছিল।

গেল বছরের ১ মে মজুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৪২৭ মেট্রিক টন। (৫ মে) বুধবারের মজুদ ৮ হাজার ৫৩৪ মেট্রিক টন। প্রতি মাসে পুলিশ, আনসার, ফায়ার ব্রিগেড, বিজিবি ও জেলখানা কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন করে চাল দিতে হচ্ছে। ফলে চালের মজুদ এক প্রকার তলানীতে এসে দাঁড়িয়েছে।

খুলনা রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকারের চালের ক্রয়মূল্য ৪০ টাকার পরিবর্তে ৪৫ টাকা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা অবধি বিদ্যুতের পিক আওয়ার পদ্ধতির বাতিলের দাবি করেছেন।’

তিনি বলেন, পিক আওয়ারে তিনগুণ বিদ্যুৎ বিল হয়। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ে। এ সময় বরিশাল, গোপালগঞ্জ, যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে বোরো আসছে। ধানের দাম মণপ্রতি প্রকার ভেদে ৯২০-৯৩০ টাকা। ধানের দাম স্থিতি থাকলে চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ হবে।’

খুলনার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রিয় কমল চাকমা জানান, এ বছর ১৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও আট হাজার ৯৫৭ মেট্রিক টন বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া ভারত থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।