খুলনা সংবাদদাতা; করোনার সময়ে খুলনায় ওয়াসার পানির ভৌতিক বিলের অভিযোগ উঠেছে। হঠাৎ করে পানির বিল শতকের ঘর থেকে হাজারের ঘরে উঠে গেছে। পূর্বের বিল পরিশোধের পরেও কারোনার সময়ে এমন বিল পেয়ে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে গ্রাহকদের মধ্যে। এদিকে বিষয়টি স্বীকার করে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এটি রিডিংম্যানের ভুল বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

নগরীর খালিশপুরের ভুক্তভোগী গ্রাহক হাজেরা বেগম অভিযোগ করেন, সারা বছর বিল আসত দেড়শ’ থেকে ২শ’ টাকা। কিন্তু জুন মাসে বিল এসেছে ৪ হাজার ৩৯৭ টাকা। দেশের এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ এমন বিল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি জানান, তার মে মাসের পানির বিলও পরিশোধ। তাহলে জুনে এক মাসের পানির বিল এত টাকা হয় কীভাবে এ প্রশ্ন ওই গ্রাহকের।

অপর গ্রাহক আহাদ আলী বলেন, রিডিংম্যানের ভুলের দায়ভার ওয়াসা কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। এতদিনের বিলের কিস্তি এই মুহূর্তে আমাদের পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মিটার লাগানোর আগে আমরা যেমন বিল দিয়ে এসেছিলাম মিটার লাগানোর পরও তার থেকে বেশি তফাৎ না হওয়ায় এটাকে আমরা স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম। তবে করোনাকালীন এই বকেয়া বিল পরিশোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। দেশের বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

বিষয়টি স্বীকার করে খুলনা ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক এম খাদেমুল ইসলাম বলেন, আমরা থার্ড পার্টির মাধ্যমে এতদিন ধরে মিটারের রিডিং নিয়ে আসছি। তারা মিটার না দেখেই ইচ্ছামতো বিল করত। সঠিক রিডিং না তোলার কারণে অনেকেরই মিটারের বর্তমান রিডিং অনুযায়ী অনেক বিল বকেয়া হয়েছে। আমরা সেই বিলগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার নিচে কিস্তিতে করছি। এটা রিডিংম্যানের ভুল বলেও স্বীকার করেন তিনি। তবে বাড়ির মালিকদের ওপর দায় চাপিয়ে তিনি বলেন, গ্রাহকদের প্রতি মাসে মিটারের রিডিং চেক করা উচিত।

আমাদের বাণী ডট কম/২৩  জুলাই ২০২০/পিপিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।