হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতা;  জেলার খোকসা উপজেলার আসন্ন কোরবানির ১২ হাজার পশুর চাহিদা থাকলেও উপজেলার ১৭ হাজার কোরবানি পশু পালন হয়েছে। উপজেলার চাহিদা থেকেও ৫ হাজার কোরবানির পশু অতিরিক্ত পালন করেছে স্থানীয় খামারীরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে এ বছর কোরবানি উপলক্ষে ১৬৪ জন স্থানীয় খামারিরা ও কৃষকেরা কোরবানির জবাই যোগ্য পশু পালন করেছে।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার পলাশ চন্দ্র রায় জানান, উপজেলায় এবার আসন্ন কোরবানির জন্য জবাই যোগ্য ৬ হাজার গরু ১০ হাজার ছাগল, ২৫ টা ভেড়া ও ৮ টি মহিষ প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূর্ণ করে ও আরো ৫ হাজার জবাই যোগ্য কোরবানির পশু অন্যত্র বিক্রয় করা যাবে।

এদিকে স্থানীয় খামারিরা ব্যাংক লোন, কড়া সুদের ও দাদনে কোরবানির পশুর লালন-পালন করেছে লাভের আশায়।  মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রচণ্ড খাদ্য সংকট ও স্থানীয় বাজারে গরুর সুব্যবস্থা না থাকায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের দূরত্ব বজায় রাখতে চাই এবার খামারিরা তাদের নির্ধারিত মূল্যে পশু বিক্রয় করতে পারবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বাজারগুলোতে গরুর দাম পড়ে যেতে বসেছে

ক্রেতাশূন্য বাজারে কোরবানির গরু যেন খামারিদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। খামারিরা বলছে এভাবে যদি গরুর দাম পড়ে যায় তাহলে সর্বস্বান্ত হয়ে যাব আমরা।

আমাদের বাণী ডট কম/০৯  জুলাই  ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।