কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতা; জেলার  খোকসায় পারিবারিক কলহের জের ধরে তিন সন্তানের জননী গৃহবধূকে হত্যার পর ঘরের ডাবে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী গ্রেপ্তার।

জানা গেছে, উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব আমলাবাড়ি গ্রামের তিন সন্তানের জননী সামেলা খাতুনের স্বামীর সাথে পাবিারিক কলহের সৃষ্টি হয়। বুধবার দুপুরে স্বামী মমিন প্রামানিক স্ত্রীকে মারপিট করে। এ ঘটনার সূত্র ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। রাতে গৃহবধূকে আবার মারপিট করে পাষন্ড স্বামী। এক পর্যায়ে গৃহবধূ মারা যায়। এরপর ঘাতক স্বামী তড়িঘড়ি করে গৃহবধূর মৃতদেহটি তার শোবার ঘরের ডাবের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করে।

নিহত গৃহবধূর পরিবার দ্রোহ প্রতিনিধিকে জানান, বিয়ের পর থেকে সামান্য পান থেকে চুন খসলেই সামেলার উপর নির্যাতন করত তার স্বামী। বুধবার দফায় দফায় মারপিট করা হয় গৃহবধূকে। রাতে হত্যা করে শোবার ঘরের ডাবের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করে ঘাতক স্বামী। তারা এ ব্যাপারে মামলা করবে বলে জানান।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, রাতে গৃহবধূ ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পেয়ে তিনি গিয়েছিলেন। তবে গিয়ে গৃহবধূর মৃতদেহটি ঘরের মেঝোতে শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছেন।

ঘটনা স্থলে উপস্থিত খোকসা থানা পুলিশের এসআই সুলতান জানান, গৃহবধূর আত্মহত্যার প্রমান মেলেনি। ঘটনাটি হত্যাও হতে পারে। মৃতদেহর ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। নিহতের ম্বামী ও ভাইকে থানায় নেওয়া হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যার মামলা হবে সে বিষয়ে এখোনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে স্বামী মমিনুল হক স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আলম জানান, বুধবারে গৃহবধূর উপর নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দিয়ে নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মামলাটি রিভিউ হতে পারে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার কার্যক্রম চলছিল।

আমাদের বাণী ডট কম/২৩  জুলাই ২০২০/পিপিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।