কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতাঃ গত ১৩ আগস্ট চুরি হয়ে যাওয়া আটো উদ্ধারে ৩ জন কে আসামি করে খোকসার মৃত্যু শাজাহানের ছেলে রাজিব বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আলম এর নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম অটো’টি উদ্ধারের জন্য জোর তৎপরতা চালায়। এক পর্যায়ে ঘটনার প্রায়ই ৬ দিন পরে আন্ত চোর চক্রের তিন সদস্যসহ অটো’টি উদ্ধার করা হয়। বলাবাহুল্য বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার পুলিশ এক আসামীকে গ্রেফতার করলে বিভিন্ন মহলের তদবীর ও চাপের প্রেক্ষিতে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চলে। পরে স্থানীয় মিডিয়াকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে আন্তজেলার চোর চক্রের সক্রিয় তিন সদস্য গ্রেপ্তার করে।

গ্রেফতারকৃত তিন আসামি হলো, খোকসা থানার রঘুনাথপুর গ্রামের সুবহান আলীর ছেলে হাসান আলী (৩৯), চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার দর্শনা চাঁদপুর গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের ছেলে মো আলী হিম সরদার (৪৫) ও একই জেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মোঃ ওবায়দুল শেখ (৩৮) চুরি হয়ে যাওয়া অটো (ব্যাটারি চালিত গাড়ি) উদ্ধার হয়।

মঙ্গলবার বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জহিরুল আলম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান চুরি হয়ে যাওয়া উদ্ধার করতে যে অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হতে হয়েছে তবে পুলিশের পেশাদারিত্ব ও ব্যাপক অনুসন্ধানে আন্তঃজেলা চোরচক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি আশা করি বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো তবে আশার আলো আমরা অটো (ব্যাটারি চালিত গাড়ি) উদ্ধার করতে পেরেছি।

উল্লেখ্য খোকসা থানা তিন বিভাগের ( ঢাকা রাজশাহী ও খুলনা) সীমান্তবর্তী থানা ও পদ্মা গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকা অবস্থান হওয়ায় চোরাকারবারীদের এক অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্যদের কাছে বর্তমান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জহিরুল আলম যোগদানের পর থেকে ব্যাপক তৎপরতায় এ চক্করের সদস্যদের গ্রেফতার হওয়ায় এলাকাবাসীর স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/১৯  আগস্ট ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।