কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা;  জেলায় গত রবিবার দুপুর থেকে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পানিতে ডুবে আটজনের মৃত্যুর হয়েছে। জেলার ইটনা, নিকলী, পাকুন্দিয়া ও মিঠামইন উপজেলায় পৃথক ঘটনায় এই আটজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ইটনা উপজেলায় সর্বোচ্চ চারজন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় দুজন এবং নিকলী ও মিঠামইনে একজন করে মারা গেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এই আটজনের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। এ ছাড়া বাকি তিনজনের মধ্যে একজন নববধূ, একজন বৃদ্ধ এবং একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন একটি নৌকাডুবিতে এবং বাকি পাঁচজন পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে মারা যায়।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের কন্দরপদী গ্রামে বৃষ্টির পানি জমে থাকা গর্তে পড়ে লামিম নামের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। সে কন্দরপদী গ্রামের প্রবাসী কাজল মিয়ার একমাত্র ছেলে। একই দিন বিকেলে ইটনা উপজেলার রায়টুটি এলাকায় রাস্তার পাশে ছবি তুলতে গিয়ে বর্ষার পানিতে ডুবে মো. মিজানুর রহমান নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

ওই দিনই বিকেলে ইটনা উপজেলার চৌগাঙ্গা ইউনিয়নের মাগুরী এলাকার ধনু নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ হয়। পরদিন সোমবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন- উপজেলার চৌগাঙ্গা ইউনিয়নের মাওরা গ্রামের হাসান আলী (৭০), নিহত হাসান আলীর নাতবৌ নববধূ সুমাইয়া (১৮) ও নাতনী হীরামনি (৫)।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের মজলিশপুর নরসুন্দা নদীতে চাঁদনী আক্তার নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। সে মজলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে।

দুপুর ১২টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের আবির হাজী বাড়ি এলাকায় বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে খেলতে নেমে পানিতে ডুবে মারুফ নামে সাত বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। সে আবির হাজী বাড়ির মো. ফারুক মিয়ার ছেলে।

এদিকে সোমবার দুপুরেই মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের শরীফপুর মডেল পাড়া গ্রামের নানাবাড়িতে মায়ের সাথে বেড়াতে গিয়ে ঘাটে বাঁধা নৌকা থেকে পা পিছলে পড়ে বর্ষার পানিতে ডুবে হাসান নামে নয় বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। সে একই ইউনিয়নের গোপদিঘী তেলিহাটি গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৪ আগস্ট ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।