আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতাঃ দেশের উত্তরাঞ্চলের দীর্ঘ মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও দুঃখ কষ্ট এখনো যেন কমছেই না। উপরন্ত দুঃখ কষ্ট দীর্ঘ মেয়াদী হওয়ার আংশকায় ভেঙ্গে পড়েছে অনেকের মন। পানি কমায় বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে অনেক পরিবার।

তবে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এখনও কিছু পরিবারকে বাঁধের উপরেই থাকতে হচ্ছে। ৮ আগস্ট শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. মিস্টার ইরাল মিলার গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী সীপ্লেন যোগে অবতরণ করেন এবং প্রত্যন্ত চরের উজালেরডাঙ্গা গ্রামের বন্যা কবলিত পরিবারের সাথে কথা বলেন।

এসময় রাষ্টদুত মিলার বন্যা কালীন সময়ে চর এলাকার অসহায় দরিদ্র নারীদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা শোনেন এবং এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে আরও কি কি ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহন করা প্রয়োজন তা জানতে চান। মাঠ পরিদর্শনকালে বেসরকারি সংগঠন এসকেএ স ফাউন্ডেশন এবং কেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত সৌহাদ্য কর্মসূচির আওতায় ৩টি উচুঁকরণ ভিটা ঘুরে দেখেন এবং তিনি অত্র এলাকার ২০ জন উপকারভোগীর হাতে সহায়তা তুলে দিয়ে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাহাত গাওহারী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রায়হান দোলন, ইউএসএইডের পরিচালক মিস্টার থোমাস পপি, কেয়ার বাংলাদেশের চীফ অব পার্টি ওয়ালটার মাওসা, এসকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ লিটন এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা।

কেয়ার বাংলাদেশ গাইবান্ধা অফিস সুত্রে জানা গেছে- বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জাতি সংঘের চলমান সহযোগিতার অংশ হিসেবে উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত অঞ্চলে ঘর-বাড়ি বা জীবিকা হারানো নাজুক পরিবার গুলোকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এর মাধ্যমে জরুরী মানবিক সহায়তা প্রদানের ঘোষনা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এরই ধারাবাহিকতায়, গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের সৌহার্দ্য-৩ কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন ৭টি গ্রামের ৫৮০টি পরিবার যারা সবচেয়ে বেশি বিপদাপন্ন, ঘর-বাড়িহারা, ক্ষুধার্ত, আশ্রয়হীন এবং অন্য কোন সহায়তা পায়নি, তাদেরকে চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে সহায়তা প্রদান করা হবে। মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রত্যেকটি পরিবারকে নগদ ৪,৫০০/= টাকা এবং নন ফুড আইটেম- লাইফবয় সাবান-১টি, হুইল সাবান-১টি, ডিটারজেন্ট পাউডার- ১ কেজি, স্যানিটারি ন্যাপকিন- ২ প্যাকেট, প্লাস্টিক মগ- ১টি, প্লাস্টিক বালতি (২০ লিটার)- ১টি এবং মাস্ক ২টি প্রদান করা হবে জানানো হয়।

 

আমাদের বাণী ডট কম/০৮  আগস্ট ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।