আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতাঃ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ও টানা বৃষ্টির পাতের কারণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি ২০ জুলাই সোমবার পর্যন্ত এখনও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার চলমান সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তি রয়েছে বন্যা কবলিত দেড় লক্ষাধিক মানুষ ।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদসীমার ৭৪ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও নদী ভাঙ্গন রোধে ও ঝুকিপূর্ণ বাধ গুলো মেরামর করা হচ্ছে ।

এছাড়াও নদ নদী গুলোতে বন্যার পানি কমতে থাকায় বন্যা কবলিত জেলার গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি ,পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এ নদী ভাঙনে ফুলছড়ি উপজেলার চর কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝানঝাইড় কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কালাসোনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এজন্য বিদ্যালয়টি ৪টি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে জিগাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৌমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে এখনও হাটু থেকে কোমর পানি থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে পানিবন্দী চরাঞ্চলের বসবাসকারী মানুষগুলো।

দ্বিতীয় দফায় বন্যায় নদী ভাঙনে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বন্যার পানি দীর্ঘ স্থায়ী হওয়ায় ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ও ফজলুপুর ইউনিয়নের চরগুলোর পানিবন্দি মানুষেরা চরম দুর্ভোগে রয়েছে। ফলে মানুষরা গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এসব এলাকায় রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট এছাড়া গবাদি পশু গুলো নিয়ে বন্যা কবলিতরা পড়েছে ব্যাপক বিপাকে এসব এলাকায় মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি রয়েছে গো খাদ্য সংকট।

আমাদের বাণী ডট কম/২০ জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।