গাইবান্ধা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন ৩০৪ এর সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি গাইবান্ধা ৩ পলাশবাড়ী সাদুল্যাপুর উপজেলার সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীগণ নৌকার প্রার্থী হিসাবে তাকে দেখতে চান । দলীয় নেতাকর্মীরা সব সময় যাকে পান তিনি হলেন এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি। গাইবান্ধা ৩ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে দলীয় নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

তিনি ১৯৬৩ সালে ১ জানুয়ারি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী সদরে জামালপুর গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহন করেন । তার পিতা মরহুম মোকসেদ আলী প্রধান মধু ও মাতা মরহুমা মাহমুদা বেগম প্রধান । স্বামী মো: মাহবুর রহমান একজন সফল ব্যবসায়ি । তার চাচা মরহুম সাকোয়াত জ্জামান প্রধান (বাবু চেয়ারম্যান) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন । দাম্পত্য জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী তাহার কন্যাদ্বয় বিদেশে পড়াশুনা করছে । ছাত্রজীবন থেকেই এড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি ছাত্রলীগের রাজনীতে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন ছাত্রজীবন শেষে একজন আইনজীবী হিসাবে ১৯৯৩ সালে ঢাকাবারে যোগদান করেন এবং আওয়ামী রাজনীতি তথা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত হন।

বিগত ২০০০ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সর্বাধিক ভোটে কার্যকরি পরিষদের ১ নং সদস্য নির্বাচিত হন।২০০৬-০৭ সালের ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কার্যকরি পরিষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন,২০০৩ সালে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যোগদান করেন সাধারন সদস্য এরপর আইন বিষয়ক সম্পাদক ও পরে ২০১২ সালে কাউন্সিল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন। বর্তমান সময়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গাইবান্ধা জেলা শাখার সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য । আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।এছাড়াও জাতীয় সংসদের কৃষি মন্ত্রনালয় সম্পকিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারিয়ান এসোসিয়েশন (সিপিএ) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সদস্য ।

২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি জামাত জোট বিরোধী প্রতিটি আন্দোলন –সংগ্রামে সংগঠনে ,মিছিলে ,রাজপথ অবরোধ কর্মসুচীতে তিনি অগ্রনী ভূমিকা ও সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন । তিনি আওয়ামীলীগ সভাপতি জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী ও কৃষকরতœ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তৎসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১/১১ পরবর্তীতে দায়ের করা সকল মামলার বিরোদ্ধে প্যানেল এ্যাডভোকেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এসময় আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের জেলহাজত থেকে মুক্ত করেন ও এসব ব্যাপারে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন এছাড়াও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামালায় অলৌকিক ভাবে বেচে যান । কর্ম জীবনে তিনি ১৯৯৩ সালে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বারের) সদস্য পদ লাভ করেন । এবং অদ্যাবধি নিয়মিত আইনজীবী হিসাবে আইনপেশায় নিয়োজিত আছেন । তিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবীর সমিতির (সুপ্রীম কোট বারের) সদস্য পদলাভ করেন । আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন সময়ে তিনি এপিপি,এডিশনাল পিপি,পিপি (র্দুনীতি দমন কমিশন) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বাগান করা , বৃক্ষরোপন,বইপড়া,ভ্রমন,ও খেলাধুলা করা তার সখ।কলেজ জীবনে খেলাধুলায় বিশেষ করে কাবাডি খেলায় তিনি জেলার চ্যাম্পিয়ান ছিলেন। নিজ জন্মস্থানে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে তিনি স্মৃতি আপা হিসাবে সর্বত্র পরিচিত মানুষ। ২০১৯ সালে কৃষকলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠন কে সুসংগঠিত করার লক্ষে কাজ করছেন। এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি কর্মীবান্ধব নেত্রী হিসাবে এ দুটি উপজেলার সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের মন জয় করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

তাই দলীয় নেতাকর্মীরা সহ স্বাধীনতার চেতনার মানুষ গুলো দলমত নির্বিশেষে আসন্ন উপ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসাবে এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি কে দেখতে চান। তিনি বর্তমান সময়ের প্রার্থীদের শীর্ষে রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।