গাজীপুর সংবাদদাতা; জেলায়  গত ২৪ ঘন্টার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে আরো ৬০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৪৯০ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এএ পর্যন্ত ১১জন মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (০৪ জুন ২০২০) সন্ধায়  গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

  • তিনি জানান, গাজীপুরের ৫টি উপজেলার মধ্যে এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় সর্বাধিক সংখ্যক লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৫৬ জন। অন্য চারটি উপজেলার আক্রান্তদের মধ্যে কালিয়াকৈরে ১৬৩ জন, কালীগঞ্জে ১৫১ জন, শ্রীপুরে ১১৮ জন ও কাপাসিয়া উপজেলার ১০২ জন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। গাজীপুরে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৭৫ জনের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক ও পোশাককর্মীও রয়েছেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, গাজীপুরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় আরো ৬০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে গাজীপুর সদরে ২৬ জন, শ্রীপুর উপজেলায় ২৫ জন, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৭জন, কাপসিয়া উপজেলায় ২জন। এর আগে মঙ্গলবার জেলার ৯৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তবে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ২৮৬জন সুস্থ্য হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০৪ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৭৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪২৩ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ হাজার ৫৬৩ জনে।৫০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৪টি। আক্রান্তের হার ১৯.০৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭১ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ হাজার ১৬১ জন। সুস্থতার হার ২১.১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ২৯ জন ও নারী ছয়জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের একজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন ও খুলনা বিভাগের একজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ তিনজন, ৫১-৬০ ১৪ জন, ৬১-৭০ ১১ জন, ৭১-৮০ দুইজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২২ জন, বাড়িতে ১২ জন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৩৮৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ১৩০ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৪ জুন ২০২০/সিসিপি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।