নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় সেখানকার এএসপি, ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কেউই দায় এড়াতে পারেন না বলে এক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামীও জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে (ভার্চুয়াল) এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

ভিকটিমকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ফৌজদারি মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট।

২৮ অক্টোবর ওই প্রতিবেদন জমা দিতে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।

গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ৪ অক্টোবর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে তারা মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।