বরগুনা সংবাদদাতা; সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে বরগুনার চার স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষেত এবং মাছের ঘেরসহ বাড়িঘর তলিয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বতর বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোট লবণগোলা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন স্লুইসগেটের পাশের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়। ৫ নম্বর আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের পায়রা নদী-সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে অন্তত আট গ্রাম। পাথরঘাটা উপজেলায় জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে আরো সাত গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সদর উপজেলার ছোট লবণগোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আমাদের এখানে বেড়িবাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি একটি স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ চলমান। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উঁচু জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে এখানের পাঁচ গ্রাম তলিয়ে গেছে।

  • এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আহমেদ বলেন, বুধবার সকালে জোয়ারের চাপে জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত করতে মাঠে নেমেছি। দুর্যোগ কালীন লোকালয়ে পানি প্রবেশ প্রতিহত করতে জিওব্যাগের মধ্যে বালুভর্তি করে আমরা বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার করছি।

 বাংলাদেশের উপকূলের প্রায় ৩৫০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যার মধ্যেই বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

এদিকে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে আবারো বিপদ সংকেত বাড়ানো হয়েছে। আগের ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও এই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আমাদের বাণী ডট/২০ মে ২০২০/পিবিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।