ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র প্রভাবে জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ উপচে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বলেশ্বর নদীর উপর নির্মিত বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকে এসব গ্রামের অন্তত ১০০টি বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে।

শুক্রবার দুপুরের দিকে বগী, সাতঘর ও দক্ষিণ সাউথখালী নামের গ্রাম তিনটি প্লাবিত হয়।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর উপর নির্মিত বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকে এসব গ্রামের অন্তত ১০০টি বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। এতে ওই এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

সাউথখালি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, বলেশ্বর নদীর বগী এলাকার বেড়িবাঁধের একটি অংশ উপচে গ্রামের বসতবাড়িতে ঢুকে পড়েছে। এতে বেশকিছু ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র প্রভাবে উপকূলীয় বাগেরহাটের কিছু এলাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা ও রামপাল উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। এসব এলাকায় প্রায় ছয় হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও শরণখোলা ও মোংলা উপজেলাতে ত্রিশ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা, রামপাল এবং মোরেলগঞ্জে আঘাত হানার আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই এসব এলাকার বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে রেডক্রিসেন্ট, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের প্রায় দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রেখেছে প্রশাসন। তাদের একাজে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সহযোগিতা করবে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র প্রভাবে পশুর, মোংলা, বলেশ্বর, ভৈরব ও পানগুছি নদীতে পানির চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পানি আরও বাড়তে পারে। জোয়ারের পানির চাপে শরণখোলা বাঁধের একটি নিচু অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আঘাত হানলে সুন্দরবন সংলগ্ন চারটি উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই এসব উপজেলার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্রশাসন কাজ করছে।

তিনি জানান, এসব এলাকায় প্রায় চারশ’ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শরণখোলা ও রামপাল উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার কিছু বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজ আমরা শুরু করেছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।