ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে সাগর-নদ-নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ঝড়ে হাওয়া বইতে শুরু করে। দুপুর ১২টা ৫০ মিটিনের দিকে প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়ায় গাছচাপায় তিনজন আহত হয়েছেন।

এরা হলেন, উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মনষাতলী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (৬৫), তার স্ত্রী সূর্য্যভানু (৪০) এবং মোটরসাইকেল চালক মো. হাবিবুর রহমান।

আহতদের বিকাল ৩টার দিকে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৬৫) ও মোটরসাইকেল চালক মো. হাবিবুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

ঝড়োহাওয়ার পর পরই কলাপাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কলাপাড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. শহিদুল ইসলাম জানায়, আমতলী-কলাপাড়া বিদ্যুৎ লাইন ঠিক আছে। ঝড়ের কারণে পটুয়াখালী-আমতালী বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনে সমস্যা দেখা দেয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধর রয়েছে।

এদিকে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের বিধ্বস্ত বেড়িবাধ এলাকা থেকে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশ করে চারিপাড়া, পশরবুনিয়াসহ পাঁচি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া কলাপাড়ায় মেঘ রোদ্দুর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শুক্রবার শেষ বিকাল পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বার বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী কলাপাড়ায় শেষ বিকালের দিকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের ধেয়ে আসার নমুনা দেখে কলাপাড়ার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সর্বস্তরের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।