চট্টগ্রাম সংবাদদাতা; চট্টগ্রামে সাদা পোশাকে এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) অভিযানের এক কিশোরের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) ১২ এসআইকে একযোগে বদলি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২০ জুলাই ২০২০) বিষয়টি নিশ্চিত কেরেছন সিএমপি’র উপ-কমিশনার (সদর) আমীর জাফর। তিনি জানান, এই বদলি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হলেও এর মধ্য দিয়ে একটি সতর্কবার্তা দেওয়া।

আমীর জাফর বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এক থানায় থাকা এবং ডবলমুরিং থানার একটি ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে সবাইকে ‘‘অ্যালার্ট’’ করার জন্য এই আদেশ।’

সাদা পোশাকে অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কখনো কখনো সাদা পোশাকে অভিযান করতেই হয়। সেটার বিষয়ে নির্দেশনা আছে- লোকাল জোনের ডিসির (উপ-কমিশনার) পারমিশন নিয়ে করতে হয়। সেখানে যদি কোনো ফাঁকফোকর থাকে তাহলে আমরা সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। সাদা পোশাকে ডিউটির বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে কমিশনার স্যার বিভিন্ন ডিসিদের নির্দেশনাও দিয়ে দিয়েছেন।’

গতকাল রোববার বদলি হওয়া এসআইদের মধ্যে ছয় জন দক্ষিণ বিভাগের। তারা হলেন—কোতোয়ালী থানার এসআই সজল কান্তি দাশ, তারিকুজ্জামান, সরদঘাট থানার এসআই তন্ময় ভট্টাচার্য্য, মোর্শেদ আলম, বাকলিয়া থানার এসআই এসএম জামাল উদ্দিন, রেজোয়ানুল ইসলাম।

উত্তর বিভাগের মধ্যে বায়েজিদ বোসতামী থানার এসআই গোলাম মোহাম্মদ নাসিম, পাঁচলাইশ থানার আব্দুল মোমিন, চান্দগাঁও থানার সালাউদ্দিন খান নোমান, পশ্চিম জোনের ডবলমুরিং থানার এসআই হাসানুজ্জামান রোমেল, হালিশহর থানার পলাশ চন্দ্র ঘোষ, পাহাড়তলী থানার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

বদলি হওয়াদের মধ্যে- দক্ষিণ বিভাগের সজল দাশ, তারিকুজ্জামান, তন্ময় ভট্টাচার্য্যকে উত্তর বিভাগে, রেজোয়ানুল ইসলামকে পশ্চিম জোনে ও জামাল উদ্দিনকে বন্দর বিভাগে বদলি করা করা হয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম বিভাগের ছয় এসআইকে দক্ষিণ বিভাগের বদলি করা হয়েছে। বদলিকৃরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত হওয়ার পর ওই বিভাগের উপ-কমিশনার তাদের বিভিন্ন থানায় পদায়ন করে থাকেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ মসজিদ গলিতে সোর্স নিয়ে সাদা পোশাকে অভিযানে যান ওই থানার এসআই হেলাল। এ সময় স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে তাদের বাধা দেয় পরিবারের সদস্যরা। অভিযানের সময় ওই স্কুলছাত্রের মা ও বোন আহত হওয়ার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সালমান ইসলাম মারুফ নামের ওই স্কুলছাত্র। পরে এলাকাবাসীর চাপের মুখে এসআই হেলালকে ক্লোজড করা হয়।

আলোচিত এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন থানায় সাদা পোশাকের দায়িত্ব পালানকারী বিভিন্ন এসআইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এরপর বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে সিএমপি কর্তৃপক্ষ।

আমাদের বাণী ডট কম/২০ জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।