জীবনের নিরপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ  ডায়েরী করেছেন গাজী টেলিভিশনের কুয়কাকাটা প্রতিনিধি ও মহিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম। শুক্রবার রাতে তিনি মহিপুর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন। ডায়েরী নং-৩৩৮।

অভিযোগে তিনি উল্ল্যেখ করেন, সংবাদ প্রকাশের কারনে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মহিপুর থানার সদর ইউনিয়নের পুরান মহিপুর এলাকার শহিদ মাতুব্বর (৩৫), ইদ্রিস মৃধা (৩৫), ফজলু ফরাজী (৩২), রফিক হাওলাদার (৪০) তাদের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে জোর পূর্বক ঘর তুলে চাঁদাদাবী করে। চাঁদার টাকা পরিশোধে অপরগতা প্রকাশ করলে প্রকাশে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

মনিরুল ইসলাম জানান, মহিপুরের কালা বাহিনী হিসাবে পরিচিত সন্ত্রাসী এ চক্রটি ইতিপূর্বে কুয়াকাটার আলেচিত তিন নারী পর্যটককে শ্লীলতাহানিসহ মারধর ও সর্বস্ব লুট করে নেয়। এ ঘটনা নিয়ে জিটিভিতে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে ক্ষিপ্ত ওই মামলার মূল আসামী শহিদ মাতুব্বর, ফজলু ফরাজী আমার নিজ ব্যবহৃত মটরসাইকেলে গাজা রাখা, মোটরসাইকেল নস্ট করে দেয়াসহ বিভিন্নভাবে হেনস্থা এবং ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সর্বশেষ সোমবার আমার জমি দখল করে ওই মামলায় ক্ষতিপুরন দাবী করে। বর্তমানে আমি প্রানহানীর শংকা নিয়ে দিন পার করছি। মহিপুরের এক গডফাদার এদের নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করনে। যার পুত্রও ওই নারী পর্যটক নির্যাতন ঘটনায় জড়িত রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফজলু ফরাজীর মুঠো ফোনে (০১৭১৪৯৩৬০১০) একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। অভিযুক্ত শহীদ মাতুব্বর বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিপুর থানার এসআই বেল্লাল বলেন, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।