জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল সংবাদদাতা;  নীলফামারী সৈয়দপুরে ভিজিএফ’র চাল আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যের গঠিত এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হককে।

কমিটির সদস্য হলেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর উপজেলা কর্মকর্তা আল মিজানুর রহমান ও নীলফামারীর সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাহমুদ হাসান। আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হবে বলে কমিটির প্রধান ডা. রাশেদুল হক জামান।

এদিকে ভিজিএফ’র চাল আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী ও ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে বাঁচাতে শুরু হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল। ভিজিএফ’র চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত সহ¯্রাধিক দরিদ্র মানুষের মধ্যে মাত্র ২৫০ জনকে চাল দেয়া হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। এ বিতরণের সত্যতা নিশ্চিত করেন চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী।

ভিজিএফ’র চাল কেন ঘাটতি হলো এমন প্রশ্ন করা হলে ওই চেয়ারম্যান বলেন অব্যবস্থাপনার কারণে এমনটি হয়েছে। অথচ বুধবার (২৯ জুলাই) ইউপি সচিব বলেন ৪০০ দরিদ্র মানুষ চাল পায়নি। ভিজিএফ’র চাল বিতরণ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মো. নাসিম আহমেদ বুধবার (২৯ জুলাই) বলেছিলেন ৩৫০ জন চাল পায়নি। কিন্তু গতকাল চাল পেল মাত্র ২৪০ জন।

এ বিষয়ে জানতে ইউএনও নাসিম আহমেদের সঙ্গে মুফোঠোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ব্যস্ত আছি পরে কথা হবে।

এদিকে ওই চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রভাবশালী অংশ অভিযোগ থেকে চেয়ারম্যানকে বাঁচাতে ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বলে একাধিক বিশিষ্টজন তাদের মন্তব্যে জানিয়েছে।

উপজেলা ভিজিএফ’র চাল বিতরণ কমিটির উপদেষ্টা ও পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, প্রায় ১২০০ জনের মত হতদরিদ্র মানুষের চাল আত্মসাত করেছে ওই চেয়ারম্যান। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভূমিকা দেখে আমি বিস্মিত হচ্ছি। তারা অপরাধীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/৩০ জুলাই ২০২০/পিপিএম

বিজ্ঞাপন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।