মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার একটি গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, চুরির অপবাদ সইতে না পেরে দশম শ্রেণির ওই ছাত্র ‘আত্মহত্যা’ করেছে। ওই স্কুলছাত্র স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

ওই কিশোরের পরিবার ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, মঙ্গলবার সকালে গ্রামের কছিম উদ্দিনের মুদি দোকান থেকে সিগারেট চুরির অভিযোগে রাব্বি হাসান ও তাঁর বন্ধুকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে স্থানীয় মাতব্বরেরা ব্যাপক মারধর করেন। এই ঘটনায় ওই দুই কিশোরের পরিবারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন তাঁরা। পরে বেলা ১১টার দিকে রাব্বি হাসান তাঁর ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় মুদি দোকানি কছিম উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘সামান্য সিগারেট চুরির অপবাদে তাঁর ছেলেকে গাছে বেঁধে গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান ওরফে হানা মেম্বার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান রাজা ও গ্রাম্য মাতব্বর হুদা আলী ব্যাপক মারধর করেন। অনেক মানুষের মধ্যে মারধর করার অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।’

এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিরা বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। ফলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ কর যায়নি। গ্রামবাসী জানায়, উঠতি মাতব্বরের এখন বিচার আচার করেন। সালিস করে যাকে তাকে মারধর করেন। দেশের আইন কানুন সব তাঁদের পকেটে রয়েছে। প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় তারা যা খুশি তাই করেন। সামান্য সিগারেট চুরির অপবাদে ভরা মজলিশে মারধর করার কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ঘটনাটি জানার পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। রাব্বির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।