ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ছালাভরা নামক স্থানের ব্রীজটি ফেটে জরার্জীণ। মহাসড়কটি দেবে যাওয়ায় ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সড়ক বিভাগ বলছে, নতুন ব্রিজ করতে হবে। কাজ শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এ ব্রীজে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোন সময়। এ ব্রীজ দিয়ে দিন রাত সর্ব সময় যানবাহন চলাচল করে। ব্রীজের নিচ দিয়ে বড় খাল দিয়ে সব সময় পানি প্রবাহিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩ মাস খুলনা, ঢাকা, যশোরসহ সারা দেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী এ মহাসড়কের পুরনো ছালাভরা ব্রীজে ভয়াবহ ফাটল দেখা দেয়। এরপর সড়ক বিভাগ থেকে ব্রীজের পাশে মোটা টিনের চাপট দিয়ে পিচ দিয়ে রেখেছে চলাচলের জন্য। ব্রীজটি বন্ধ করতে পারছে না, বন্ধ করলে সারা দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। ব্রীজের সমস্যার কারণে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটছে। প্রায় ১ মাস আগে ব্রীজের উপর থেকে ট্রাক খালের মধ্যে পড়ে দু,জন মারা গেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর একটি ট্রাক অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে, ট্রাকটি খালে নিচে পড়েনি। পড়লে প্রানহানির ঘটনা ঘটতো।

ঝিনাইদহ শহরে ও কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা বা ঢাকাসহ সারা দেশের একমাত্র যোগাযোগের পথ। যাবার সড়কের উপর এই ব্রীজটি স্থানীয়রা জানায়, অত্যন্ত ব্যস্ততম এই মহাসড়ক। প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা যানবাহন চলাচল করে থাকে। এমন কোন যানবাহন নেই যা চলাচল করে না। সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করে থাকে মারাতœক ঝুকিপূর্ন ভাবে। ১০ চাকার ও ১৪ চাকার ট্রাক ভারি মালামাল নিয়ে যশোরের দিকে যাবার সময় মাগুরা হয়ে যাচ্ছে আবার অনেকে মাগুরা হয়ে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছে।

পথচারী আবদুল গণি বলেন, সড়কটি এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম কিন্তু ব্রীজ ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে সবার। ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাই আমরা। এ ব্রীজে প্রতিদিন যানবাহনের জ্যাম হচ্ছে ঘন্টার ঘন্টা, পরে পুলিশ বা অন্যান্ন্য সদস্যরা গিয়ে জ্যাম ছুড়িয়ে দিচ্ছে। ব্রীজটি ক্রমেই দেবে যাচ্ছে। চালকরা গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে দেখে তার পরে যানবাহন পার করছে। বিকল হয়ে পড়লে তখন মাগুরা দিয়ে যেতে হবে। ব্রীজ থেকে নিচের খাল প্রায় ৩৫ ফুট। প্রথমে এখানে খেজুর গাছের পাতা দিয়ে নিশানা করা ছিল এখন বাশের মাথায় লাল কাপড়ের পতাকা বেধে রাখা হয়েছে রাস্তার মধ্য খানে। যাতে করে দূর থেকে যানবাহনের চালকরা দেখতে পায়। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক বিএম কামরুজ্জামান বলেন, ব্রীজটি সংস্কার করা অতি জরুরী।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণারানী সাহা বলেন, ব্রীজটি সংস্কার করার জন্য বলা হয়েছে অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।