টাঙ্গাইল সংবাদদাতা; জেলার ভূঞাপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে খাজা তালুকদার নামে এক সিকিউরিটি গার্ডের মৃত্যু হয়েছে।  আজ সোমবার (০১ জুন ২০২০) সকালে  উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বিলচাপড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।

  • স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু জানান, ঢাকায় একটি কোম্পানির গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন খাজা তালুকদার। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তিনি গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। পরে ভোরে মারা যান।

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিউদ্দিন জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া খাজা তালুকদারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা।

  • উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাসরীন পারভীন জানান, স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লোকজনের সহায়তায় খাজা তালুকদারের মরদেহ আজ দুপুরে বিলচাপড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলায় নতুন করে আরও ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় শনাক্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮১ জনে। আজ সোমবার (০১ জুন ২০২০) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিন মাসরুরসহ ৩ জন, সদর উপজেলায় ১ জন, দেলদুয়ারে ৩ জন, মধুপুরে ২ জন, কালীহাতিতে ২ জন, বাসাইল ১ জন ও ঘাটাইলে ৪ জন।

  • সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, জেলায় নতুন ১৬ জনসহ টাঙ্গাইলে শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৮১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১০০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ জন।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০১ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ৬৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৮১ জন । এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৯ হাজার ৪৭ হাজার ৫৩৪  জনে। দেশে ৫২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১০৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৩৯টি। আক্রান্তের হার ২০.৮১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮১৬ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০ হাজার ৫৯৭ জন। সুস্থতার হার ২১.৩৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ১৯ জন ও নারী তিনজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন, সিলেট বিভাগের দুইজন ও বরিশাল বিভাগের একজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন ৪১-৫০ আটজন, ৫১-৬০ চারজন, ৬১-৭০ সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন, বাড়িতে পাঁচজন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন।

আমাদের বাণী ডট কম/০১  মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।