বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান করাচ্ছেন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী। জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম কির্ত্তণখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাধবী মজুমদার চার বছরেরও অধিক সময় ধরে খুলনা মহানগরে ডেপুটেশনে রয়েছেন। এতে দেখা দিয়েছে শিক্ষক সংকট।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুরেশ চৌধুরী জানান, এই বিদ্যালয়টিতে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষকের পদ রয়েছে মাত্র ৪টি। এই ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে থেকে সহকারী শিক্ষিকা মাধবী মজুমদার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদবির করে ২০১৫ সালের ১৪ মে থেকে অদ্যবধি খুলনা মহানগরের সি.এস.ডি জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে কর্মরত রয়েছেন। যার মাশুল গুণতে হচ্ছে স্কুলের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের। তাই বাধ্য হয়ে স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মিলন কুমারকে দিয়ে শিশুদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। চিতলমারী উপজেলা ও বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিস থেকে তার ডেপুটেশন বাতিলের লিখিত সুপারিশ খুলনা উপ-পরিচালাকের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে লিখিত আবেদন করেও আজ পর্যন্ত কোনো প্রতিকার মেলেনি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, ওই স্কুল পরিচালনা কমিটি এবং শিক্ষকরা মিলে শিক্ষক সংকটের রেজুলেশন ও আবেদন পাঠালে ওখানে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চিতলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সহকারী শিক্ষিকা মাধবী মজুমদার সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় ও স্বার্থে খুলনায় ডেপুটেশনে গিয়েছেন। তার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র চালাচালি চলছে বলেও তিনি জানান।

তবে সহকারী শিক্ষিকা মাধবী মজুমদার বলেন, আমার ডেপুটেশন মন্ত্রণালয় থেকে হয়েছে। আমি এখন খুলনার একটি স্কুলে কর্মরত রয়েছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।