ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় গঠিত হয়েছে গ্রাম আদালত।

জানা যায়, স্থানীয় জনগণ ফৌজদারি হলে দুই টাকা এবং দেওয়ানি হলে চার টাকা দিয়ে নিজ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে মামলা করতে পারেন। এই আদালতে বিচার পাওয়ার জন্য আইনজীবী দরকার হয় না। পড়তে হয় না বিচারপ্রাপ্তিতে সময় ক্ষেপণের ভোগান্তিতে। এই আদালতে বিচারক থাকেন পাঁচজন। বাদী-বিবাদীর পক্ষে থাকে দুজন করে লোক।

স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এ আদালতে বিচারকাজ পরিচালিত হওয়ায় মিথ্যার আশ্রয়ের সুযোগ থাকে না। প্রথম দিকে তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও সময়ের ব্যবধানে জেলার প্রতি উপজেলায় এই বিচার ব্যবস্থা জনপ্রিয় হচ্ছে।

সদর উপজেলার আকচা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত বর্মন বলেন, ‘দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ যখন ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন, আমরা দ্রুত তার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিটি ইউনিয়নে সপ্তাহে একদিন করে গ্রাম আদালত বসে। এই আদালতে মানুষ খুব সহজে সমাধান পায়। কোনো টাকা-পয়সাও খরচ হয় না। ’

জেলা জজ কোর্টের পিপি শেখর কুমার রায় বলেন, ‘সরকারের গ্রাম আদালত গঠনের উদ্দেশ্যই হলো মানুষ ছোটখাটো বিষয়গুলোর সমাধান দ্রুত পায়। ’ তিনি বলেনÑ ‘ছোটখাটো ক্ষতির মামলা, চুরির মামলা বিশেষ করে যে চুরিতে ৫০ হাজার টাকার কম ক্ষতি থাকে সেগুলোর বিচার গ্রাম আদালতে হয়। আর ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে জেলা আদালতে বিচার করা হয়

’অ্যাড. আলতাফুর রহমান বলেন, ‘গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরো বেগবান করা উচিত। এতে কোর্টের মামলা জট কমবে। ’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।