নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা;  গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তার পারিবারিক সহযোগী ডা. আরমান হোসেন। তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছে। তাই তেমন ভয়ের কিছু নেই। ইতিমধ্যে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত এটা দিয়ে দেয়ায় তার জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে। তিনি আরো জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে তিনি ডায়লোসিস নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ডায়লোসিস নেয়ার পর তিনি আগের চেয়ে ভালো বোধ করছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বাসায় আছেন এবং অত্যন্ত সচেতনভাবে নিয়ম মেনে চলাফেরা করছেন। তার চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলেও জানান ডা. আরমান হোসেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৬ মে ২০২০)  রাতে গণমাধ্যমকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, অনেকেই আমার জন্য দোয়া করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ফোন করে আমরা খোঁজ নেয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে ফোন করেছিলেন। অনেকে আমার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছেন। তাদের কাছে আমি খুব কৃতজ্ঞ। দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের দোয়ায় আমি ভলো আছি।

আমারতো আবার কিডনি নষ্ট। এখন প্যারাসিটামল খাচ্ছি। গরম পানি খাচ্ছি। প্লাজমা থেরাপি নিয়েছি। এমনিতে ভালো আছি।

 জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি একটি কথা সবাইকে বলি, আমারতো ৭১ সালে মারা যাওয়ার কথা ছিল। কেউ কি বলেছিল আমি বেঁচে ফেরত আসবো! তবে কষ্টটা কোথায় জানেন? আমার কষ্টটা হলো এই সরকারকে বোঝাতে পারলামনা যে এই কিট যদি দ্রুত বাজারে আসতো তাহলে দেশবাসীর লাভ হতো। গত বছর দেশে যখন ডেঙ্গু হয়েছিল, সরকার এক দিনের মধ্যে ডেঙ্গু কিটের অনুমোদন দিয়েছিলেন। সাত দিনের মধ্যে এন্টিভাইরাসের অনুমোদন দিয়েছেন। আজকে অপর পক্ষে আমাদের নানা অযুহাতে বিলম্বিত করছেন। ডেঙ্গুর এন্টিভাইরাস যেটা ইনজেকশন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৭ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ৮৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে আট হাজার ১৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও এক হাজার ৫৪১ জনের দেহে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৪ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন। সুস্থতার হার ২০.৭৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ২০ জন ও নারী দুইজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ০-১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ দুইজন, ৩১-৪০ দুইজন, ৪১-৫০ দুইজন, ৫১-৬০ সাতজন, ৬১-৭০ সাতজন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে একজন।

আমাদের বাণী ডট কম/২৭  মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।