সরকারি ছয় ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদের এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একাংশ ভারতের দিল্লির এক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির প্রশ্নের সাথে হুবহু মিলে যায়। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের নজরে বিষয়টি আসলে তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি) এই পরীক্ষা নেয়। ঘন্টাব্যাপী এমসিকিউ’র পরীক্ষা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে এবং চলে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত সরকারি ছয় ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের একাংশের সাথে ভারতের দিল্লির পাবলিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অ্যাসাইনমেন্টের সাথে হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দেখা যায়, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ইংরেজি অংশের প্যাসেজটি ওই স্কুলের প্যাসেজের সাথে হুবহু মিল রয়েছে। এমনকি কয়েকটি এমসিকিউ প্রশ্নও হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে।

ভারতের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সমতুল্য প্রশ্ন নিয়ে বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংকগুলোর সিনিয়র অফিসারের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে বিভিন্নজন বিরূপ মন্তব্য করছেন।

পিবি সাকিল আহমেদ লিখেছেন, ‘তার মানে বাঙালী গ্র্যাজুয়েটরা দিল্লির বাচ্চা বাচ্চা আকাটা পোলাপানের চাইতেও নগণ্য…। আসলে বর্তমানে রাবিশের বাচ্চারা বড় বড় গদিতে বসে পাগলামি শুরু করছে… । কবে বাংলাদেশের সরকারি জব এক্সাম ভারতে গিয়া দেওয়া লাগে… আল্লাহ জানে…।

সাব্বির হাসান লিখেছেন, নার্সারির প্রশ্ন তো আর আসে নাই। ইনশাআল্লাহ এর পর নার্সারির প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা হবে।

দীনা চৌধুরী লিখেছেন, ‘এখানে মান সম্মান থাকা না থাকার কি আছে? এই প্রশ্নেই দেখেন পোলাপান হিমসিম খেয়ে গেছে। ক্লাস ফাইভ বা ক্লাস নাইন ফ্যাক্ট না, ফ্যাক্ট হল বেসিক শিক্ষা।’

জিতেন্দ্র দাস বণিক একটু ভিন্নভাবে বলেন, ‘রিপিট নয় আমদানি বলেন। তার মন্তব্যের রিপ্লাইতে সারোয়ার আহমদ বলেন, ‘ঐ একই, রিপিট আর আমদানি, যাহা লাউ তাহাই কদু’।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।