নেত্রকোণা সংবাদদাতা; জেলার  দুর্গাপুরে টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেতাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই নদীর বেড়ি বাঁধ না থাকায় উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দ উষান, ভাদুয়া, জাকিরপাড়া, শ্রীপুরসহ ১২টির বেশি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০     জুন ২০২০)  দুপুরে ওই পানিবন্দী এলাকা ঘুরে এমন করুণ চিত্র দেখা গেছে।

  • সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দ উষান গ্রামের জয়নাল আবেদীনের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নৌকা ও কলার ভেলা তৈরি করে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন পানিবন্দী পরিবারগুলো।

চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দ উষান বাজার, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা, মসজিদসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। যেকোনো সময় নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি বিলীন হতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন বন্দ উষান বাজারের আশপাশের প্রায় ত্রিশটির বেশি পরিবার।

  • চলমান ভাঙন যে কোনোভাবে প্রতিরোধ না করা গেলে গ্রামের হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, বাজার, মসজিদসহ সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এমনই শঙ্কা স্থানীয়দের।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান জানান, নদী ভাঙনের ফলে ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। মৃত্যুর পর নিজের লাশটি অন্যের জমিতে কবর দিতে হবে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সম্প্রতি অন্যের জায়গায় ঘর করে জীবিকা চালাচ্ছিলেন তিনি।

  • এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে কেনো নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হয়নি। জরুরি ভিওিতে বাঁধ নির্মাণকল্পে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা জেলার উপ-প্রকৌশলী মো. রহিদুল হোসেন খান জানান, বন্যার পানি এখন কমতে শুরু করেছে। তবে আকস্মিক বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়া বেশকয়েকটি জায়গায় বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ওইসব জায়গায় বাঁধ দেওয়া হবে।

  • এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা খানম বলেন, ‘ঊর্দ্ধতন কৃর্তপক্ষের সাথে কথা বলে জরুরি ভিওিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভাঙন রোধে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। অচিরেই কাজ শুরু করা হবে।’

আমাদের বাণী ডট কম/৩০জুন ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।