স্কুল পড়ুয়া এক শিশুর বিদ্যুতের শট সার্কিটে একটি হাত কেড়ে নিয়েছে। শিশুটি এখন যুবক, তাই অন্য-বস্ত্র সংগ্রহের জন্য কষ্ট করে শ্রম দিয়ে সংসার চালিয়ে আসছে। কিন্তু ভিক্ষা করতে লজ্জা লাগে- কষ্ট করে শ্রমজীবি হয়েছে। সে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ৬ নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নস্থ ৯ নং ওয়ার্ডের চাপোড় গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র সোহাগ আলী।

দুই যুগ পূর্বে নিজ এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় বাড়ির পার্শ্বে পাঁখির বাসায় পাঁখির ছানা ধরতে গিয়ে বিদ্যুতের শট সার্কিটে আটকে যায়। এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীনে নিয়ে গেলে, সেখানেই তার ডান হাতটি কেটে ফেলে চিকিৎসক। এখন শ্রম দিয়ে যা উপার্জন হয় কোন মত রুটি রোজগারের আয় করে পরিবারকে চালিয়ে আসে। পিতা মাতা ও তার স্ত্রী সন্তান সহ পাঁচ জনের রুজির পথ একাই শ্রম দিয়ে আয় করে।

চাপোড় এলাকায় এইচআর ব্রাদার্স প্রোঃ হাবিবুর রহমান নান্নুর জমিতে মাটি ভরাট করছে শ্রমিকদের সঙ্গে। সেখানেই ঐ প্রতিবন্ধী সোহাগ আলী এক হাত দিয়ে অন্য শ্রমিকের সাহায্যে মাটি কেটে টকরি ভরাট করে উঠিয়ে দিচ্ছে। সে জানায় মানুষের কাছে হাত পাততে ও ভিক্ষা করতে লজ্জা লাগে, তাই কষ্ট করে শ্রমজীবির কাজ শিখিয়ে এক হাত দিয়ে শ্রমজীবির কাজ করি। কোন জমি জমা নেই কোন মত একটি থাকার ঘর রয়েছে। এ ঘরের ভিতরে সে স্ত্রী-সন্তান ও ঘরের বারান্দায় পিতা-মাতা রাত্রি যাপন করে। তার আকুতি সরকারি ভাবে একটি ঘর বরাদ্দ দিলে সে যাযাবর পরিবারের অবস্থানের মধ্য থেকে শান্তিতে দিনাতিপাত করতে পারবে।

প্রতিবন্ধী সোহাগের আকুতি-মিনতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার এই করুন অবস্থা দূর করার জন্য একটি বাড়ি বরাদ্দ দাবি করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সোহাগ আলী ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।