সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, কুরআন পুর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। কওমি মাদরাসাগুলো দেশ ও জাতির জন্য আল্লাহর রহমতস্বরূপ। কওমি মাদরাসার আলেম ওলামারা আমাদের ধর্মীয় মুরুব্বী। ধর্মীয় বিষয়ে আমরা তাদেরকে মেনে চললে লাভবান হবো। আপনাদের ছেলেমেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা দিবেন; কেন না সৎ, চরিত্রবান নাগরিক তৈরি করতে হলে ধর্মীয় শিক্ষা, ইসলামী সভ্যতা এবং আমল আখলাকের বাস্তব অনুশীলন অতিব জরুরি। ধর্মীয় শিক্ষার অভাবেই আমাদের সমাজে অপরাধ বাড়ছে। তিনি মাদক, সন্ত্রাসসহ সব অনাচারের বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরামকে সজাগ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

শনিবার হাফেজ্জী হুজুর রহ: প্রতিষ্ঠিত জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মাদরাসার মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াযী, শায়খুল হাদিস আল্লামা সুলাইমান নোমানী, শায়খুল হাদিস শেখ আজিমুদ্দিন, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানি, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যথাক্রমে হাজী নুরে আলম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ হোসাইন, হাজী সাইদুল মাদবর, মুফতি আফম আকরাম হুসাইন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী মাওলানা ইলয়াছ মাদারীপুরী ও মাওলানা শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।

সভাপতির ভাষণে মাওলানা আতাউল্লাহ বলেন, রমজান মাস আল্লাহ পাকের নৈকট্য হাসিলের মাস। এ মাসে অপরাধ বর্জনের প্রশিক্ষণ নিতে পারলে সারা বছর অপরাধমুক্ত থাকার তৌফিক আল্লাহ পাক দিয়ে দিবেন। রমজানে ক্ষমার মহান সুযোগ পাওয়ার পরেও যারা গুনাহ মাফ করাতে পারল না তারা হতভাগা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।