ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা; ঢাকার ধামরাইয়ে বন্যার পানিতে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে অন্যদিকে কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার (০১ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। শনিবার দুপুরে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের বংশী নদীতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলো, ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মান্দারচাপ গ্রামের শিফা (১২) ও মীম (১২)। তারা দু’জনই ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

পুলিশ জানায়, দুপুরে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া এলাকায় নিহত দু’জনসহ মোট পাঁচ শিক্ষার্থী বন্যার পানিতে নৌকা ভ্রমণে যায়। এসময় নৌকাটি উল্টে গেলে সবাই পানিতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে শিফা ও মীমকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

পুলিশ পরিদর্শক দীপক চন্দ্র সাহা জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতদের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর রিফফাত আরা বলেন, পানিতে ডুবে অসুস্থ দু’জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তবে তারা দু’জনই মারা যায়।

এসময় সাঁতার না জানা সকলকে পানিতে না গিয়ে নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম: ঈদের দিনে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে বায়েজিদ (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বায়েজিদ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার (০১ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ডাক্তার পাড়া গ্রামের বন্যার পানিতে প্লাবিত ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দুপুরে বাড়িতে খেলতে খেলতে পরিবারের সকলের অগোচরে এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী বন্যার পানিতে প্লাবিত গর্তে পড়ে ডুবে যায় শিশুটি। পরে পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করে বাড়ির পাশের বন্যার পানিতে প্লাবিত গর্ত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর-রশীদ পানিতে ডুবে বায়েজিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমাদের বাণী ডট কম/০১ আগস্ট ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।