সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে ডিগ্রি তেকানী সরকারি প্রাইমারি স্কুলের তিনতলা বিশিষ্ট ভবনের একাংশ যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সোমবার স্কুলের বাকি অংশ প্রকাশ্য নিলামে বিক্রির জন্য দিন ধার্য করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘যমুনা নদীর পূর্ব পাড় তেকানী ইউনিয়নের উল্লেখিত স্থানে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শনিবার বিকালে ওই বিদ্যালয়ের একাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।’

স্থানীয়রা বলছেন, অব্যাহত ভাঙন রোধে শুষ্ক মৌসুমে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। বর্ষার শুরুতেই স্থানীয় পাউবো জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন স্থানে বালির বস্তা ফেলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ১৯৩৪ সালে এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৫ সালে এলজিইডি ভবনটি তিনতলায় উন্নীত করে। ভাঙন স্কুলের সন্নিকটে আসলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যথা সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ কারণে ছেলেমেয়েদের ওই স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।

ইউএনও বলেন, স্কুলটি ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকলেও পাউবো শেষ মুহূর্তে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা সন্তোষজনক ছিল না।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় পাঁচ হাজার জিও ব্যাগে বালি ভরে ওই ভাঙন স্থানে ফেলা হয়। কিন্তু ভাঙন এলাকায় ঘূর্ণাবর্তের কারণে স্কুলটিকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। যমুনা নদীর একেবারে কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে এলজিইডি এ ধরনের স্কুল স্থাপনের আগে পাউবোর কোনো মতামত নেয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, চৌহলীসহ জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।