বিশ্বকাপে প্রত্যাশামাফিক সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ! তবে স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি।

স্বভাবতই তার প্রাপ্তিকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। বিশ্বমঞ্চে একের পর এক উইকেট তুলে নিয়েছেন ফিজ। সেই আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ হচ্ছে শনিবার। এদিন তার বউভাত। এটি কাটার মাস্টারে জীবনে অন্যতম আনন্দময় ঘটনা হতে চলেছে।

এর আগে ঘরোয়া পরিবেশে অনেকটা চুপিসারেই বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার কাটার মাস্টার খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান।

ওই সময়ই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন জাঁকজমকপূর্ণ। সে অনুষ্ঠানটিই আজ নিজ বাড়িতে আয়োজন করেছেন মুস্তাফিজ।

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নিজ বাড়িত মুস্তাফিজ-সামিয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ক্রীড়াপ্রেমী ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয় স্বজন অংশগ্রহন করেন। নববধূর আগমন উপলক্ষে মুস্তাফিজের বাড়ি সাজানো হয় রাজকীয় সাজে, আলোক ঝলমলে শোভা পায় গেট ও প্যান্ডেল নান্দনিক রূপে।

বৌ-ভাতে অংশগ্রহণ করেন সাতক্ষীরা ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব ডা. আ, ফ, ম রুহুল হক, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমানসহ বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা।

তবে নিজের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিনেও মিডিয়ার সামনে বরাবরের মতোই চুপ থাকলেন মুস্তাফিজ। বাড়িতে সুসজ্জিত আসরে বধু সুমাইয়া পারভীন শিমুকে নিয়ে পাশাপাশি বসেছিলেন এই কাটার মাস্টার। সেখানেও কোনো কথা তিনি বলেননি। যেন লজ্জায় মরে যাচ্ছিলেন।

তবে মুস্তাফিজুর রহমানের বাবা আলহাজ আবুল কাশেম গাজী ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আপনারা সবাই আমার ছেলে মুস্তাফিজের জন্য দোয়া করবেন। আপনারা যারা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এসেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

মুস্তাফিজের নববধূ সুমাইয়া পারভিন শিমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার বাবা মো. রওনাকুল ইসলাম পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে থাকেন গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে।

উল্লেখ্য, লাখ এক টাকা দেনমোহরে গত ২২ মার্চ ২০১৯ বিয়ে হয়েছিল তাদের। শিমু মুস্তাফিজের আপন মামাতো বোন। তিনি ২০১৮ সালে দেবহাটার সখিপুর খান বাহাদুর আহসানউল্লা কলেজ থেকে এ-প্লাস পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে ২০১৬ সালে নলতা হাইস্কুল থেকে গোল্ডেন এ-প্লাস পেয়ে পাস করেন এসএসসি। মুস্তাফিজুর রহমান (ফিজ) কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের আলহাজ্ব আবুল কাশেমের পুত্র।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।