আশরাফুল আলম জালাল ,নান্দাইল (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা; করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে দূর্ভোগের শেষ নেই, তার উপর জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে হ্যাচারীর বর্জ্যের দূর্গন্ধে সীমাহীন জনদূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। যেন ‘ মরার উপর খরার ঘা’। ঠিক তেমনটিই ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে হাইওয়ে সড়কের উত্তর মুশুল্লী নামক স্থানের এলাকাবাসীর কপালে।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ হাইওয়ে সড়কের দু-পাশের উল্লেখিত স্থানে হ্যাচারীর পচাঁ ডিম, মৃত হাসেঁর বাচ্চা সহ অন্যান্য ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তুপের সৃষ্টি করেছে। উক্ত স্তুপ থেকে ২৪ঘন্টায় বের হচ্ছে অসহনীয় দূর্গন্ধ। এতে করে উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী সকল যানবাহন চালক, যাত্রীসাধারণ, পথচারী হ্যাচারীর এই বর্জের দূরগন্ধ নাক চেপেও রেহাই পাচ্ছেনা।

এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসীর সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর্ভোগের এখানেই শেষ নয়, উক্ত বর্জ্যর চারপাশে সরকারি-বেসরকারি সহ ৫/৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং একটি মসজিদ ও দু-দিকে দুটি হাটবাজার রয়েছে। প্রতিনিয়ত দূর্গন্ধে উত্তর মুশুল্লী জামে মসজিদের মুসুল্লীগণ নামাজ পড়তে ও হাটবাজারে আগত জনসাধারন সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

স্থানীয় এসডি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক শফিকুল ইসলাম রেণু ও নার্গিস সুলতানা জানান, নান্দাইল চৌরাস্তা ও নান্দাইল রোড বাজার এলাকার হ্যাচারীর লোকজন রাতে আধারে রাস্তার পাশে এই ময়লা ফেলে দিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হক, দুলাল মিয়া, বজলুর রহমান ও দ্বিন ইসলাম সহ অনেকেই জানান, “এখানে কারা হ্যাচারীর ময়লা ফেলছে তা জানতে পারলেও তারা বলে আমরা বর্জ্যগুলো তারেরঘাট নদী ও কিশোরগঞ্জ ময়লার ভার্গাড়ে ফেলে দেই বলে এড়িয়ে যায়। তবে তাদেরকে হাতেনাতে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আগেই দূর্গন্ধ বায়ূতে আমাদের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

অপরদিকে নান্দাইল-তাড়াইল সড়কের যোগের হাওর রাস্তার পাশে একইভাবে হ্যাচারীর বর্জ্য ফেলায় যানবাহন চালক ও যাত্রীসাধারন সহ পথচারীদের দূর্ভোগের শেষ নেই।

এ বিষয়ে নান্দাইল চৌরাস্তার হ্যাচারীর মালিক বুরুজ আলী ফকির, হানিফ সহ আরো ২ জন হ্যাচারীর মালিক জানান, “আমরা ১ হাজার টাকা দিয়ে টমটম গাড়ী দিয়ে হ্যাচারীর ময়লা কিশোরগঞ্জ ময়লার ভাগাড়ে ফেলি। যারা রাস্তার পাশে ফেলে তাদেরকে গিয়ে প্রশ্ন করেন।” তবে কারা ফেলেছে একথা তারা জানেন না।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/২২  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।