নীলফামারীতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে  ভোট ডাকাতির ” কালো দিবস” পালিত হয়েছে। দিবসটি উপুক্ষে সোমবার সকাল ১১ টায় জেলার কালিবাড়ি থেকে একটি কালো পতাকার মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভকেট তুষার কান্তি রায় এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সিপিবির জেলা সভাপতি আতিয়ার রহমান, বাসদ নীলফামারী জেলার আহ্বায়ক ইউনুছ আলী, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রীদাম দাস, জেলা কমিউনিস্ট লীগ জেলা আহ্বায়ক সরনী বিশ্বাস,জেলা বাসদ সদস্য হামিদুল ইসলাম, জেলা বাসদ সদস্য পরিমল, জেলা বাসদ মাক্সবাদী সংগঠক ডাঃ রবিন্দ্রনাথ রবি , জেলা ছাত্র ফ্রন্টের ছাত্রনেতা জাফর হোসেন জাকির প্রমূখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ ও সরকার এক বছর পার করেছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সরকার ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোট জালিয়াতির এক চরম কলঙ্কজনক নজির স্থাপন করে পুনরায় ক্ষমতাসীন হয়েছে। ভোটের নামে এসব ছিল এক ধরনের প্রশাসনিক ক্যু।

সরকারের শরিক দলের নেতৃবৃন্দও বক্তৃতা-বিবৃতিতে সাক্ষ্য দিয়ে বলছেন যে, ৩০ডিসেম্বর ২০১৮ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। কেউ কেউ ভোট কেটে নেয়ার হোতাদের বিচারও দাবি করেছেন। ভোটের ৬ মাস পর নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত তথ্য থেকেও সীমাহীন অনিয়ম ও জালিয়াতির তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অনেক কেন্দ্রে শূন্য ভোট, আবার অনেক কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ ভোট পড়ার আজগুবি তথ্য দেয়া হয় এবং যে ব্যবস্থায় এখন দেশ চলছে, তা পূর্ববর্তী সব লুটেরা বুর্জোয়া ধারার সরকারের আমলেও কায়েম ছিল। জনগণ আগাগোড়াই শোষণ, বঞ্চনা, দুর্নীতি, গণতন্ত্রহীনতা, ভোটাধিকার হরণের শিকার হয়েছে। সেকারণে সরকার বদল হওয়া সত্ত্বেও ‘ব্যবস্থা’ বদল না হওয়ায় জনগণের দুর্গতির ক্ষেত্রে কোনো মৌলিক হেরফের ঘটছে না। তাই, ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানের পাশাপাশি বর্তমান লুটপাট ও বৈষম্যের ব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করা আজ অপরিহার্য।

এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে ভোট ডাকাতির সংসদ বাতিল, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক পরিবেশে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।