চট্টগ্রাম সংবাদদাতা; জেলার পটিয়া উপজেলায় দুই মেয়েকে গলাটিপে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সেই বাবারও মৃত্যু হয়েছে।

  • গতকাল বৃহস্পতিবার (০২ জুলাইন ২০২০)  দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মোখেন্দু বডুয়া (৫৬) নামে ওই বাবার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে, গতকাল বুধবার ভোরে পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের শশুরবাড়িতে দুই মেয়েকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মোখেন্দু বডুয়া। পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি আজ মারা যান।

  • পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, গত বুধবার সকালে পুলিশ তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তার দুই মেয়ের লাশ মর্গে পাঠায়। তবে উদ্ধারের পর থেকে মোখেন্দু বড়ুয়ার জ্ঞান ফিরে আসেনি। এর ফলে তার দুই মেয়ের মৃত্যুসহ ঘটনার বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, বুধবার ভোর রাতে কাশিয়াইশ ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড ভান্ডারগাও এলাকায় প্রভাত বড়ুয়া বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে টুকু বড়ুয়া (১৪) ও ছোট বোন নিশু বড়ুয়ার (১১) লাশ পাওয়া যায় এবং পাশপাশি তাদের বাবা মুখেন্দু বড়ুয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।

  • এর আগে গত বুধবার ভোরে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ভান্ডারগাঁও এলাকায় একটি বাড়ি থেকে পুলিশ মোখেন্দু বড়ুয়ার মেয়ে টুকু বড়ুয়া (১৪) ও নিশু বড়ুয়া (১০) নামে দুই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা করে। ওই দুই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো. ইউসূফ জানান, মোখেন্দু বড়ুয়া ঢাকায় চাকরি করেন। পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। দুই মেয়ে নানার বাড়িতেই থাকত। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে লকডাউন হওয়ায় দুই মাস আগে মোখেন্দু বড়ুয়া গ্রামে এসে শশুরবাড়িতে ওঠেন।

আমাদের বাণী ডট কম/০৩  জুলাই  ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।