কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা; জেলার  কুমারখালীর উপর দিয়ে প্রবাহিত শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি গ্রামের দেড় কিলোমিটার পদ্মা নদীর পাড়ের আগাম ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ী কোমরকান্দি, কান্দাবাড়িয়া,জাহেদপুরে,বেলগাছিসহ ৬ টি গ্রাম ঝুঁকিতে রয়েছে। কুঠিবাড়ী রক্ষায় পদ্মা নদী পাড়ের প্রধান অংশ দেড় কিলোমিটার বাদ দিয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করায় এমন আগাম ভাঙন শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

  • এদিকে খবর পেয়ে সোমবার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও শিলাইদহ ইউপি চেয়ারম্যান।

সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানান, বর্ষার শুরুতে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঘনঘন বৃষ্টি আর বাতাসে কোমরকান্দির জালাল সর্দারের বাড়ি থেকে জলা প্রামাণিকের বাড়ি পর্যন্ত ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়।ভাঙনের আতঙ্কে নিয়ে জীবন পার করছেন তারা।

  • ভুক্তভোগী জালাল সর্দার জানান,ভাঙনের জন্য দুইবার ঘর সরিয়েছেন আবারও নদী ভাঙতে ভাঙতে ঘরের কিনারে চলে এসেছে গরীব মানুষ বারবার ঘর সরানোর টাকা কই পাবেন। সুফিয়া খাতুন জানান,পানির শব্দে রাতে ঘুম হয়না ভাঙনে ঘর সহ নিজেরা পানিতে ডুবে যাবার ভয়ে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান জানান,ভাঙন এলাকা ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করা হয়েছে।ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী পীযূষ কৃষ্ণ কুন্ডু জানান,শিলাইদহ কুঠিবাড়ী রক্ষায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।ভাঙন বেশি হওয়ায় শিলাইদহ এলাকায় ১ হাজার মিটার ও সুলতানপুর এলাকায় ২ হাজার ৭২০ মিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।তিনি আরো জানান,দুই বাঁধের মাঝে দেড় কিলোমিটার অংশে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে।তবে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৩ জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।