আলাউদ্দিন, পাবনা জেলা সংবাদদাতা; জেলায় নতুন করে ৫৭জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ যাবৎকালে জেলায় একদিনে এটাই সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল
আজ শনিবার (০৬ জুন ২০২০) রাতে পাবনা জেলা সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
- সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবারের তুলনায় আজ তিনগুণ বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে জেলায়। এর মধ্যে জেলা সদরে ৩৮ জন, সুজানগরে আটজন, আটঘরিয়ায় দুজন, ভাঙ্গুড়ায় তিনজন ও ঈশ্বরদীতে ছয়জন রয়েছেন। ঈশ্বরদীতে আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক।
সিভিল সার্জন জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য বর্তমানে ঢাকাতেও পাঠানো হচ্ছে। আজ সর্বশেষ যে ফলাফল পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ঢাকার ১৭৮টির মধ্যে ২৬ জনের নমুনা পজিটিভ এসেছে। রাজশাহী ল্যাবের ১৪৮টি নমুনার মধ্যে ৩১ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে।
- তিনি বলেন, ‘আজ জেলায় ৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন যা একদিনের সর্বোচ্চ। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের অনেকের পরিবারে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।’
শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যেই দুজনকে জেলা করোনা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটজন সুস্থ হয়েছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন চিকিৎসক মেহেদী ইকবাল।
- প্রসঙ্গত, পাবনা জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৬ এপ্রিল। এরপর গত দেড় মাসে জেলার নয় উপজেলায় মোট ৩৬ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। ঈদের ছুটির পর চার দিনে ৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০৬ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী,গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৮৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৩৫ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩ হাজার ০২৫ জনে। নতুন করে সুস্থ্য হয়েছে ৫২১ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩৩২৫ জন। ৫০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৯০৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪৮৬টি। আক্রান্তের হার ২১.১০ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২১ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৩ হাজার ৩২৫ জন। সুস্থতার হার ২১.১৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ২৮ জন ও নারী সাতজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন, ২১-৩০ তিজন, ৩১-৪০ দুইজন, ৪১-৫০ তিনজন, ৫১-৬০ ১০ জন, ৬১-৭০ পাঁচজন, ৭১-৮০ ৯ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন।
আমাদের বাণী ডট কম/০৬ জুন ২০২০/সিসিপি